নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজয়ায় রাফাল যুদ্ধবিমান আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে পেয়েছে ভারত সরকার। ফান্সে দাসোঁর কারখানাতেই অস্ত্র পুজো করেছেন রাজনাথ সিং। গায়ে সিঁদুর দিয়ে লিখে দিয়েছেন 'ওঁ'। সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দুত্বের রাজনীতি করার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিতের কথায়,''রাফালের সঙ্গে ধর্মীয় বিধি মেশানো অনুচিত।'' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে সরব হয়েছেন। নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন, ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কীভাবে হিন্দু রীতি চাপাতে পারে সরকার? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেন, ''বিজয়দশমীর ধর্মীয় রীতির সঙ্গে রাফালের কোনও মিল নেই। উতসব আমরা উদযাপন করি। এর সঙ্গে যুদ্ধবিমানের যোগ আছে নাকি? এটাই সরকারের সমস্যা। সব কিছুই নাটকীয়তায় মুড়িয়ে দেয় এরা।''


আপ ছেড়ে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন অলকা লাম্বা। তাঁর কটাক্ষ, ফ্রান্স থেকে ভারতে পৌঁছল না রাফাল, তার আগেই প্রথম বড় সাফল্য পেল। গুটি সবুজ লেবু পিষে দিয়ে শত্রুর খারাপ নজর থেকে বাঁচিয়েছে ভারতকে। 



দিল্লি কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান সমীর হোডার খোঁচা, দেশকে বাঁচাতে কেন লেবু কিনছে না সরকার? 


শুধু কংগ্রেসই নয়, সরকারের বিরুদ্ধে গেরুয়াকরণের রাজনীতির অভিযোগ করেছেন নেটিজেনরা। কারও কথায়, লোকেরা বলছে এটা আমাদের ঐতিহ্য, ধর্মীয় রীতি। কিন্তু ভারত তো হিন্দু, মুসলিম, ক্রীশ্চান, জৈন ও শিখদেরও দেশ। সকলেই কর দেন। তাহলে শুধুমাত্র হিন্দু রীতি কেন মানছে কেন্দ্রীয় সরকার? 




বিজয়াদশমীতে অস্ত্র পুজোর রীতি রয়েছে। সেই রীতি মেনেই মঙ্গলবার রাফালের পুজো করেন রাজনাথ সিং। রাফালের গায়ে সিঁদুর দিয়ে লিখে দেন ওঁ। এরপর নারকেল রাখেন। চাকার তলায় দেন দুটি লেবু। পুজো সারার পর রাফাল যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়ে চক্করও কাটেন রাজনাথ সিং।


আরও পড়ুন- নাগাড়ে বৃষ্টিতে থইথই দিঘা থেকে কলকাতা, দুর্যোগ জারি থাকবে আগামিকালও