নিজস্ব প্রতিবেদন: রাহুল গান্ধী আগেই খোলসা করেছেন, যদি জোট তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায়, তা হলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন। অন্য কেউ হলেও তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাঁর। অর্থাত্ বিজেপিকে হঠাতে রাহুল এই আত্মত্যাগ করতে এক পায়ে রাজি । সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সোমবার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের গলায়ও শোনা গেল একই সুর। তিনি এ দিন স্পষ্ট করেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে রাহুল বা কংগ্রেসের অন্য কোনও নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ভাবা হচ্ছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন বিধায়কের স্ত্রী


চিদম্বরম বলেন, “আমরা কখনও বলিনি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন। যখন এ বিষয়ে কোনও কংগ্রেস নেতা মন্তব্য করেছেন, তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই যে কোনও মূল্যে বিজেপিকে উত্খাত করতে।” তিনি আরও বলেন, বিজেপি সরকারের পরিবর্তে এমন একটি বিকল্প সরকার চাইছি যেখানে উন্নয়ন, ব্যক্তি স্বাধীনতা, সন্ত্রাস দমন, নারী ও শিশুর নিরাপত্তা এবং চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর মতো পরিসর থাকে। এ দিন চিদাম্বরম আরও স্পষ্ট করেন, আগে জোট তৈরি করতে চাই। নির্বাচনের পর জোটই সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?


আরও পড়ুন- ভোট শিয়রে, তাই আয়াপ্পাকে ‘চটাতে’ চান না নেতারা


গত ৫ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও একই মন্তব্য করেছিলেন। তিনি এ দিন বলেছিলেন, “আমরা জোট সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা দুটো ধাপে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। প্রথম বিজেপিকে পরাস্ত করা। এরপর নির্বাচন শেষে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা।”


প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীও জোট সঙ্গীদের উপর বেশি ভরসা রাখছেন। তাঁর কথায়, রাজ্যের দলগুলো যে ভাবে প্রভাব বিস্তার করছে, তাতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলে ৫০ শতাংশ ভোট পায়নি। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সঙ্গীদের বিচ্ছেদ ঘটাতে সন্ত্রাসের রাজনীতি খেলছে বলে মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।