নিজস্ব প্রতিবেদন- তাড়ির প্রতি তাঁর টান নতুন নয়। লকডাউনের সময় কেন্দ্রীয় সরকার যখন মদ বিক্রি বন্ধ করেছিল তখনও তিনি তাড়িকে বিকল্প হিসাবে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। লকডাউনে রাজ্যের সব জায়গায় মদের বদলে তাড়ি বিক্রির আবদার করেছিলেন তিনি। মে মাসে তাঁর সেই বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তেলেঙ্গানার আবগারি মন্ত্রী ভি শ্রীনিবাস গৌড়ের মুখে আবার শোনা গেল তাড়ির গুণগান। তিনি এবার বললেন, তাড়ি খেলে ক্যান্সারসহ ১৫টি রোগে সেরে যেতে পারে। তবে তাড়ি পান করতে হবে নিয়মিত। দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া তাঁর এই পরামর্শ ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। আর এমন পরামর্শ যে নতুন করে আবার বিতর্ক সৃ্ষ্টি করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনে গিয়ে তিনি জনগণের উদ্দেশে তাড়ি পানের উপকারিতা নিয়ে ভাষণ দেন। তেলেঙ্গানার জনগাঁও জেলার রঘুনাথপল্লী ব্লকের মণ্ডলাগুদেম গ্রামে স্বাধীনতা আন্দোলনের যোদ্ধা সারওয়াই পাপান্নার মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ভি শ্রীনিবাস গৌড়। সেখানেই রাখ-ঢাক না রেখে তিনি প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বলেন, ''তাড়ি এখন আর শুধুমাত্র গরীব মানুষের পানীয় নয়। এখন মার্সিডিজ চড়া লোকজনও তাড়ির খোঁজ করছে। কারণ তাড়ির গুণাগুন সম্পর্কে লোকে এখন জানতে পেরেছে। তেলেঙ্গানা সরকার গাছ থেকে তাড়ি সংগ্রহের পেশায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে নিয়োগ করার ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে। নিয়মিত তাড়ি পান করতে পারলে ক্যান্সারসহ ১৫টি রোগ সেরে যেতে পারে।''


আরও পড়ুন- বাদ প্রশ্নোত্তর পর্ব, কাঁচি জিরো আওয়ারে, বাদল অধিবেশন নিয়ে জমছে বিরোধীদের ক্ষোভের মেঘ


তেলেঙ্গানার আবগারি দফতর তাড়ি থেকে তৈরি মদ ‘নীরা’ বাজারে এনেছিল জুন মাসে। তবে সেই তাড়ি ফার্মেন্টেড ছিল না। তাড়ি গেঁজিয়ে ওঠার আগে বোতলে ভরে নীরা উত্পাদন করা হত। সেই মদের গুনাগুণ নিয়েও এর আগে গৌড়াকে বলতে শোনা গিয়েছিল। তিনি সেই সময় দাবি করেছিলেন, তাড়ি পান করলে কিডনিতে পাথর জমতে পারে না। এমনকী মধুমেহ, কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে এমন রোগীদের নিয়মিত তাড়ি খাওয়া উচিত। তাড়িতে থাকা আয়রন ও পটাশিয়াম মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।