শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: ওড়িশা সরকারের দাবি বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ৬২ জনের। আর ১৮২ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে মৃতের সংখ্যা কোথায় দাঁড়ায়। এমনটাই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মমতা। এরকম এক পরিস্থিতিতে মোট ১৭০টি মৃতদেহ রাখা হয়েছে ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে। তার তালিকা দিয়েছে নবীন পট্টনায়ক সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-তাঁর আমলে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন, পাল্টা গোধরা প্রসঙ্গ টানলেন মমতা


রাজ্যের যেসব হাসপাতালে ওই ১৭০ জনের মৃতদেহ রাখা রয়েছে


১. ভুবনেশ্বর এইমস 


২. এএমআরআই ভুবনেশ্বর


৩. সান হাসপাতাল ভুবনেশ্বর


৪. ক্যাপিটাল হাসপাতাল ভুবনেশ্বর


৫. কেআইএমএস হাসপাতাল ভুবনেশ্বর


৬. হাইটেক হাসপাতাল ভুবনেশ্বর


এখনওপর্যন্ত বহু দেহ সনাক্ত করা যায়নি। মৃতদেহগুলির পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ফলে লাশ সনাক্তকরণের বিষয়টি আরও শক্ত হয়ে উঠছে। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে যেসব মৃতদেহ সনাক্ত করা যায়নি তাদের ছবি দেখা যাবে ওড়িশা সরকারের ওয়েবসাইট www.bmc.gov.in -এ।


সরকারের তরফে বলা হয়েছে যারা এখনও তাদের আত্মীয়দের খুঁজে পাননি বা এনিয়ে কোনও তথ্য জানতে চান তারা যোগাযোগ করতে পারেন রেলের এইসব হেল্পলাইনে-


১. ভুবনেশ্বর-০৬৭৪ ২৫৩৪০২৭


২. কটক-৮৪৫৫৮৮৯৯১৭


৩. খুরদা রোড-০৬৭৪ ২৪৯২২৪৫/৮৪৫৫৮৮৭৯৯৯


৪. সরাসরি রাজ্য সরকার-১৯২৯


উল্লেখ্য, রবিবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন শুক্রবার সন্ধেয় বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘঠনায় পেছনে রয়েছে ইন্টাললকিং সিস্টেমে রদবদল। বৈষ্ণো বলেন, রেল সেফটি কমিশনার বিষয়টির তদন্ত করেছেন। সেই রিপোর্ট আসবে। তবে দুর্ঘটনার কারণ জানা গিয়েছে। কারা এর জন্য দায়ী তাদেরও চিহ্নিত করা গিয়েছে। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ে রদবদল করার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আপাতত আমাদের সব ফোকাস রেল পরিষেবা শুরু উপরেই রয়েছে। 


এদিকে, ওই দুর্ঘটনার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেল সুরক্ষা বোর্ড। এনিয়ে আজ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বলেন, 'যে পরিস্থিতিতে এই  দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং প্রশাসনিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেটা মাথায় রেখে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেল বোর্ড'। শুধু তাই নয়, দ্রুত যাতে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে। 


এদিন রেল বোর্ডের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, 'ওভার স্পিডিংয়ের কোনও ব্যাপার ছিল না। সিগন্যালও গ্রিন ছিল। সোজা যাওয়ার কথা ছিল। কোনও কারণবশত.... যে কারণটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি তদন্ত করছেন। সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)