জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুক্রবার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যসচিব। গতকাল সংবাদমাধ্যমে মৃতের সংখ্যা ২৮৮ বলা হচ্ছিল। তার পরেই তিনি মৃত্যুর সংখ্যা জানিয়ে দেন। এদিকে ঠিক কী কারণে ওই ভয়ংকর দুর্ঘটনা তা নিয়ে বিভিন্ন রকম তত্ব উঠে আসছিল। রেলের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছিল, সিগন্য়াল সোজা থাকলেও পয়েন্ট করে দেওয়া হয়েছিল বাঁদিকে। তাতেই মালগাড়ির লাইনে চলে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তবে রবিবার রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন অন্য কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কেন ফেল অ্যান্টি কলিসন প্রযুক্তি 'কবচ', জানলে চমকে যাবেন


রবিবারও দুর্ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। সেখানেই তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ জানা গিয়েছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কারণ 'একটি ইলেকট্রনিক ইন্টালকিংয়ে রদবদল'। বৈষ্ণো বলেন, রেল সেফটি কমিশনার বিষয়টির তদন্ত করেছেন। সেই রিপোর্ট আসবে। তবে দুর্ঘটনার কারণ জানা গিয়েছে। কারা এর জন্য দায়ী তাদেরও চিহ্নিত করা গিয়েছে। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ে রদবদল করার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আপাতত আমাদের সব ফোকাস রেল পরিষেবা শুরু উপরেই রয়েছে। 


দুর্ঘটনার পরপরই বিরোধী শিবিরের তরফে দাবি করা হয়, অ্যান্টি কলিসন ডিভিইস যাকে 'কবচ' বলা হচ্ছে তা থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না। গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, এমন এক গুরুত্বপূর্ণ রুটে অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস ছিল না। রবিবার রেলমন্ত্রী সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, কবচের সঙ্গে এই দুর্ঘটনা কোনও সম্পর্ক নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল যা বলেছেন তা ঠিক নয়। ইলেকট্রনিক ইন্টালকিংয়ে বদল করার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। 



অন্যদিকে, আজ রেল বোর্ডের অপারেশন ও বিজনেস ডেভলপমেন্টের সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে সিগন্যালিংয়ের জন্যই এই দুর্ঘটনা।  রেল সেফটি বোর্ডের রিপোর্টের জন্য আমরা এখনও অপেক্ষা করছি। দুর্ঘটনার সময়ে ট্রেনটির গতি ছিল ১২৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। রেলমন্ত্রী গত ৩৬ ঘণ্টা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। সেখানে তিনি উদ্ধারকাজ, পরিষেবা চালু করার কাজ তদারকি করছেন।


দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দেড় দিন। ইতিমধ্যে সরানো হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ২১টি কোচ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহাঙ্গা বাজার স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেস বেলাইন হয়ে যায়। মাত্র ৩টি বগি ছাড়া লাইনচ্যুত হয় করমণ্ডলের সবকটি কামরা। ওদিকে লাইনচ্যুত কমমণ্ডলের বগির ধাক্কায় বেলাইন হয়ে যায় ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও ৩-৪টি কামরা। রেলের তরফে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত সব কামরাগুলিকেই বাহাঙ্গা বাজার স্টেশনে তোলা হয়েছে। এবার দুর্ঘটনাস্থল পরিষ্কার করা হচ্ছে। শুধু মালগাড়ির ৩টি ওয়াগনকে এখনও সরানো বাকি। পাশাপাশি বহু লাশ এখনও সনাক্ত করা যাচ্ছে না। সেটাই এখন বড় কাজ। 


শুক্রবার সন্ধ্যা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় চেন্নাইগামী আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ১২৮৪১ চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস হাওড়ার শালিমার থেকে দুপুর বেলায় রওনা দেয়। তারপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে নাকি একটি মালগাড়িকে ধাক্কা মারে। মালগাড়ির সঙ্গে ট্রেনটির সংঘর্ষ এতটাই জোরালো ছিল যে করমণ্ডলের ইঞ্জিন মালগাড়ির উপর চেপে যায়। ৩টি বগি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সব কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। লাইনচ্যুত করমণ্ডলের কামরার সঙ্গে ধাক্কা লেগে আবার ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও বেশ কয়েকটি কামরা বেলাইন হয়ে যায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)