নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা রুখতে দিনরাত এক করে লড়ছেন চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। অথচ চূড়ান্ত অসহযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদেরকেই। বিভিন্ন জায়গায় বাড়িওয়ালারা তাঁদের বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। করোনার চিকিত্সা করতে গিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হতে হচ্ছে ডাক্তারদের। দেশ থেকে রাজ্য, ছবিটা সর্বত্র একই। সোশাল মিডিয়াতেই ইতিমধ্যে চোখে পড়েছে এমন অনেক পোস্ট। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীরা জানাচ্ছেন তাঁরা প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেন না। ভাড়া বাড়িতে থাকা নিয়েও সমস্যা করছেন বাড়িওয়ালা এবং অন্যান্যরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেডিক্য়াল কলেজের এক ইন্টার্ন সায়ন্তন মুখুটী লিখছেন, "ওলা উবের ডাক্তার নার্স শুনলে আসছে না। ড্রপ লোকেশন হাসপাতাল দিলে রাইড ক্যান্সেল করছে। হেলথ সিস্টেমের সাথে জড়িয়ে যারা তাদের ভাড়া বাড়ি খালি করে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।" অন্যদিকে বেলেঘাটা আইডি-র এক এক নার্সের অসহায় হয়ে আর্তি জানিয়েছেন ফেসবুকে। 



আরও পড়ুন: শনিবার থেকেই রোগী ভর্তি হবে, মেডিক্যাল কলেজ ঘুরে দেখলেন স্বাস্থ্যভবনের উচ্চপর্যায়ের কমিটি


এই পরিস্থিতিতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেই চিঠি লিখলেন এইমস-এর চিকিত্সকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সা করছেন, জানতে পারলেই চিকিত্সকদের উচ্ছেদ করছেন বাড়িওয়ালারা। সংক্রমণের ভয়েই উচ্ছেদ করা হচ্ছে ডাক্তারদের। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ডাক্তার উচ্ছেদ হয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। 


এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় চিকিত্সকরা যাতে নিজেদের কাজে মন দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করুক সরকার। প্রয়োজনীয় সরকারি নির্দেশ দেওয়া হোক
গণ পরিবহণ চালু না থাকায় কর্মস্থলে যেতেও সমস্যায় পড়ছেন ডাক্তাররা।  দেশজুড়ে চিকিত্সকদের পিক আপ ও ড্রপ চালু করুক সরকার এমনই আর্জি করছেন চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা। 


আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে লকডাউন, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ল সময়সীমা, বিদ্যুতের বিল দেওয়া যাবে অনলাইনেও


এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল চিকিত্সকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি, বেলেঘাটা আইডি-র এক নার্স কল্যাণীতে বাড়ি ফেরেন। তারপর থেকেই তাঁর বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে চিকিত্সকদের সংগঠন। এভাবে চলতে থাকলে অবিলম্বে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়বে আশঙ্কা চিকিত্সক সংগঠনগুলির।