নিজামুদ্দিনে দায়িত্বজ্ঞানহীন তবলিঘি জামাত, প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকাও
কিন্তু দুই সরকারও কি দায় এড়াতে পারে?
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার বিরুদ্ধে যখন দেশ লড়ছে, তখন বিদেশিদের নিয়ে ধর্মীয় সম্মেলনের আয়োজন করে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে তবলিঘি জামাত। যার মাসুল গুণতে হচ্ছে গোটা দেশকে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাদের দায়িত্ব সেই পুলিস-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিজামুদ্দিনের আলামি মরকজ বাঙ্গেয়ালি মসজিদে তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় সম্মেলন। সেই সূত্রে দিল্লির এ তল্লাট এখন দেশে করোনা সংক্রমণের হটস্পট। কার গাফিলতিতে ঘটে গেল এতবড় বিপর্যয়? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
করোনা রুখতে প্রকাশ্যে ৫ জনের বেশি একসঙ্গে নয়, দিল্লি সরকারের এ নির্দেশের পরও কোন যুক্তিতে ধর্মীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হল? বিদেশ থেকে আসা মানুষের সূত্র ধরে যখন দেশে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে তখন একসঙ্গে আড়াইশোর বেশি বিদেশিকে কেন ধর্মীয় সম্মেলনে অংশ নিতে দেওয়া হল?
কিন্তু দুই সরকারও কি দায় এড়াতে পারে? জামাতের সম্মেলনের সময় রাজধানীতে জারি হয়ে যায় মহামারি প্রতিরোধ আইন। ধর্মীয় সমাবেশ আয়োজনের কথা তাঁরা জানতেনই না
বলে দাবি করেছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। প্রশ্ন উঠছে, করোনা নিয়ে যখন সতর্কতার কথা বলা হচ্ছে তখন, তবলিঘি জামাতের সমাবেশের কথা কেন জানতেই পারল না দিল্লি সরকার?
নাকি জামাতের ধর্মীয় সম্মেলনের কথা, দিল্লি সরকারের জানা থাকলেও সম্মেলন বন্ধের চেষ্টা করা হয়নি? লক-ডাউনের পরও তবলিঘি জামাতের সদর দফতরে রয়ে যাওয়া দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে কেন সরানোর ব্যবস্থা করল না কেন্দ্রের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিস?
নিজামুদ্দিন এলাকায় ধর্মীয় সম্মেলন যখন হচ্ছে, তখন করোনা আতঙ্ক রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছে। IPL সহ সব টুর্নামেন্ট বাতিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। নিষিদ্ধ সব জমায়েত। তবুও কেন এতটা অবিবেচক হলেন সম্মেলনের উদ্যোক্তারা? বোকামি? নিয়ম না মানার স্পর্ধা? আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাদের কাজ তাদেরও ব্যর্থতা? দেশজুড়ে সংক্রমণে আতঙ্কের
মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে একঝাঁক প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- করোনার মাঝে PPF-সহ স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার কমাল কেন্দ্র