নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার উপসর্গ দেখা দিলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা যে কতটা প্রয়োজন তা বুঝিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে লব আগরওয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, কোনও করোনা রোগী যদি কোয়ারেন্টাইনে না থাকেন বা লকডাউন না মানেন অথবা সোশ্যাল ডিস্টান্সিং না মানেন তাহলে মারাত্মক ব্যাপার হতে পারে। এক মাসে মোট ৪০৬ জনকে সংক্রমিত করতে পারেন ওই করোনা রোগী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রোজ তৈরি হবে ৪০,০০০ জনের খাবার, ডায়মন্ডহারবারে ২১ কমিউনিটি কিচেন চালু করছেন অভিষেক


উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। শেষ হবে ১৪ মার্চ। তবে তা আরও বাড়বে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে অত্যন্ত কঠোর ভাবে লকডাউন মানতে হবে। তা মানা না হলে ২ বছর জেল পর্যন্ত হতে পারে।


করোনা মোকাবিলায় লকডাউন, সোশ্যাল ডিসট্যানন্সিং-সহ একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সত্বেও দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। ফলে কোনও কোনও রাজ্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে। এনিয়ে বিচার বিবেচনা করে দেখছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুয়ায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৫৪ জন। মঙ্লবার সবেমিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৪২১। মৃতের সংখ্যা ১১৭। সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল।


আরও পড়ুন-Live: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৬৯, মৃত ৫ | দেশে আক্রান্ত ৪৪২১, মৃত ১১৭


স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব জানালেন-


# দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৪২১।


# গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ আরও ৩৫৪ জনের।


# মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের।


# গত ১ দিনে মৃত্যু ৮ জনের।


# ৩২৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


# করোন মোকাবিলায় প্রতি রাজ্য ও জেলাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এর ফলও পাওয়া গিয়েছে।


# প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোয়ারেন্টাইন ম্যানেজমেন্ট, রোগীদের ওপরে নজর রাখা, সন্দেহভাজনের লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। পুণে, ভিলওয়ারা, টুঙ্কুরে এর ফল পাওয়া গিয়েছে।


# প্রয়ুক্তি ব্যবহার করে চিকিত্সকদের ট্রেনিং, অ্যাম্বুল্য়ান্সের ওপরে নজর রাখা হচ্ছে।


# কোভিড সন্দেহভাজনদের চিকিত্সার জন্য তিন পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমটি হল কোভিড কেয়ার সেন্টার। যারা কম সন্দেহজনক তাদের রাখা ব্যবস্থা করা হচ্ছে হোটেল, হস্টেলের মতো জায়গায়।


# দ্বিতীয় যে ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেটি হল ডেডিকেটেড কোভিড কেয়ার সেন্টার। যারা মাঝারি মাপের সংক্রণমিত তাদের সেখানে রাখা হবে।


# তৃতীয় স্তরের ব্যবস্থা হল ডেডিকেটেড কোভিড কেয়ার হাসপাতাল।


#  ২৫০০ কোচে ৪০,০০০ আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করেছে রেল।


# রোজ ৩৭৫ কাচকে আইসোলেশনে রূপান্তিত করা হচ্ছে।