কানপুরের সরকারি হোমে করোনা পজিটিভ ৫৭ মহিলা, ৫ জন অন্তঃসত্ত্বা
কয়েক সপ্তাহ আগে হোমের এক মহিলার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তার পরেই অন্যান্যদের করোনা টেস্ট করা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: তোলপাড় রাজ্য। সরকারি শেল্টার হোমে থেকেও রেহাই নেই। কানপুরে এক সরকারি হোমে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লেন ৫৭ মহিলা। এমনটাই জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদের মধ্যে কয়েকজন আবার অন্তঃসত্ত্বাও।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় বাংলার একটি জেলারও নাম নেই! মুখ্যমন্ত্রীকে খোলাচিঠি অধীরের
কানপুরের জেলা শাসক ব্রহ্মদেব রাম তিওয়ারির দাবি, স্বরূপনগরে রাজকীয় বালিকা ঘর-এ আসার পর দেখা যায় ৫ মহিলা গর্ভবতী। ওইসব মহিলাদের বিভিন্ন জেলা থেকে হোমে আনা হয়েছিল। আগ্রা, কনৌজ, ফিরাজাবাদ, এটা ও কানপুর থেকে এরা হোমে আসে।
রাজ্য মহিল কমিশনের সদস্য পুনম কাপুর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পক্সো আইনে অনেক মহিলাকে এই হোমে রাখা হয়েছে। এদের অনেকেরই বয়স ১৬-১৭ বছরের মধ্যে। হোমের কয়েকজন স্টাফ সম্প্রতি ২ মহিলাকে নিয়ে কানপুরের হেইলেট হাসপাতালে গিয়েছিল। করোনা সংক্রমণ সেখান থেকে হতে পারে। তারপর তা হোমে ছড়িয়ে পড়ে।
হোমের মহিলাদের গর্ভবতী হয়ে পড়া সম্পর্কে পুনম বলেন, হোমে নিরাপত্তায় কোনও গলদ নেই। পুরুষদের প্রবেশ এখানে নিষিদ্ধ। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পক্সো আইনে ওইসব তরুণীদের হোমে আনা হয়।
আরও পড়ুন- 'করোনা মানেই একঘরে নয়, অপরাধ নয়, পাশে আছি', দৃষ্টান্ত তৈরি নিউটাউনের আবাসিকদের
কয়েক সপ্তাহ আগে হোমের এক মহিলার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তার পরেই অন্যান্যদের করোনা টেস্ট করা হয়। তখনই ভয়ঙ্কর এই বিষয়টি সামনে আসে।
হোমে থাকা মহিলা কীভাবে অন্তঃসত্ত্বা হল তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যে। কানপুরের পুলিস কমিশনারও জেলা শাসকের সুরে কথা বলছেন। তাঁরও দাবি, হোমে আসার আগেই ওইসব মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন। তবে এনিয়ে তদন্ত হচ্ছে।