নিজস্ব প্রতিবেদন— দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে কোনও রকম সমস্যায় না পরে তার জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। দেশের প্রতিটি রাজ্যে চালু হয়েছে করোনাভাইরাস হেল্পলাইন নম্বর। কিন্তু সেই নম্বর যদি কাজই না করে তাহলে জরুরী অবস্থায় কিভাবে পরিষেবা পাবে সাধারণ মানুষ! ঠিক এই রকমই কিছু সমস্যার কথা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করেছেন বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লির অঙ্কুর তিওয়ারি নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। করোনাভাইরাসের কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছিল তাঁর শরীরে। জ্বর হয়েছিল, ক্লান্তি ভাব ছিল, এছাড়া শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিয়েছিল তাঁর। সেই সময় তিনি করোনাভাইরাস হেল্পলাইনে বার বার ফোন করেন পরামর্শ নেওয়ার জন্য। বারবারই নম্বর ব্যস্ত পান তিনি। কখনও অপারেটরের তরফে উত্তর আসে, নম্বরের কোনও অস্তিত্ব নেই। অনেক চেষ্টা করেও শেষমেশ হেল্পলাইন নম্বর থেকে কোনও সাহায্য পাননি তিনি। বাধ্য হয় বাড়ির কাছাকাছি এক চিকিৎসককে দেখিয়ে তিনি জানতে পারেন, করোনায় আক্রান্ত হননি তিনি। 


অঙ্কুর তিওয়ারির মতো একই অভিযোগ করেছেন অনেকেই। হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কোনও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে্ন বহু মানুষ। এই প্রসঙ্গে দিল্লির একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, তাঁর পাশের কলোনিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। তাই তিনি বারবার হেলপ্লাইন নম্বরে ফোন করেও কোনও সাহায্য পাননি। এমনকি তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে টুইট করেও জানিয়েছিলেন সমস্যার কথা। কিন্তু তার সেই টুইট গ্রাহ্য হয়নি। কিন্তু দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রক দ্বারা করোনাভাইরাসের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ১৯ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে প্রায় ২৮৭টি ফোন তারা পেয়েছেন।


আরও পড়ুন— নিরাপত্তা মন্ত্রক তৈরি করছে বায়োসুট, করোনা মোকাবিলায় চিকিতসকদের জন্য বড় সুখবর


শুধু যে দিল্লিতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তা নয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাধারণ মানুষ এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যেমন মুম্বইয়ে বসবাসকারী একজন জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের শরীরে করোনাভাইরাসের কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। শরীরে ব্যাথা, কাশি, বুকে ব্যাথা, জ্বরের মতো উপসর্গ ছিল। সেই সময় তিনি মহারাষ্ট্রের করোনা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে কোনও উত্তর পাননি। এরপর তিনি বাধ্য হয়ে তাঁর মাকে নিয়ে বাড়ির কাছাকাছি একটি ক্লিনিকে যান। এছাড়াও হরিয়ানা থেকে একজন জানিয়েছেন, তিনি হেল্পলাইন নম্বরের থেকে কোন উত্তর না পেয়ে হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে টুইট করেছিলেন। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি।