নিজস্ব প্রতিবেদন : এবার করোনাভাইরাসের হদিশ রাষ্ট্রপতি ভবনেও। রাষ্ট্রপতি ভবনের এক সাফাইকর্মীর পরিবারের সদস্যের ধরা পড়ল করোনাভাইরাস। আর তার জেরে রাষ্ট্রপতি ভবনের কমপ্লেক্সে থাকা ১২৫টি পরিবারকে পাঠানো হলো আইসোলেশনে। ওই সাফাইকর্মীর পরিবারের সকলে সম্প্রতি করোনাভাইরাসে মৃত এক আত্মীয়ার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় যোগ দিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। খোদ রাষ্ট্রপতি ভবনের কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের এমন উদাসীন আচরণ ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


সূত্রের খবর, ওই সাফাই কর্মীর পুত্রবধূর মা সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় যোগ দিতে ওই সাফাই কর্মীর পরিবারের প্রত্যেকে সেই গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহে ওই সাফাইকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সোমবার সেই নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট আসে। তাতে ওই ব্যক্তির পুত্রবধূর দেহে করোনাভাইরাসের হদিস মেলে। এরপর পরিবারের আর কোন‌ও সদস্যের দেহে করোনাভাইরাসের হদিস না মিললেও তাদের প্রত্যেককেই আইসোলেশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুরু হয় কম্পেক্সের স্যানিটাইজেশনের কাজও।


ওই কমপ্লেক্সে মোট ১২৫টি কোয়ার্টার আছে। সেই কোয়ার্টারগুলির প্রতিটি পরিবারকে সেল্ফ আইসোলেশন এ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত ওই পরিবারের কোয়ার্টারের সংলগ্ন ২৫টি পরিবারের বাসিন্দাদের কড়া নজরদারিতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বাকি পরিবারগুলিকে অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কমপ্লেক্সের বাইরে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


করোনাভাইরাসে মৃত্যু হলে যেখানে শেষকৃত্যেও পরিবারকে থাকতে দেওয়ার নিয়ম নেই, সেখানে কীভাবে গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়দের নিয়ে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার আয়োজন করা হল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সেই অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় আর কারা যোগদান করেছিলেন তার খোঁজ চালাচ্ছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: কমছে সংক্রমণের হার! দেশে অনেকটাই কমছে ডাবলিং রেট, জানিয়ে দিল কেন্দ্র