নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে আরও ২ সপ্তাহ! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদর বৈঠকে সেরকমই ইঙ্গিত মিলল। অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মত সেরকমই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধনমন্ত্রীর সঙ্গে আজ লকডাউন নিয়ে বৈঠকে বসেন ১১ রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রীরা। এদের মধ্যে ১০ জনই লকডাউনর মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে সায় দিয়েছেন। তাঁদের অভিমত অন্তত ২ সপ্তাহ বাড়ানো হোক লকডাউনের মেয়াদ।  গোটা বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর বিচারাধীন।  প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে বলেন, আমাকে ২৪ ঘণ্টাই পাওয়া যাবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা যেকোনও সময় যেকোনও পরামর্শ আমাকে দিতে পারেন।


আরও পড়ুন-NRS-এর পর এবার আরজিকরেও সংক্রমণ, বন্ধ হতে পারে মেডিসিন ওয়ার্ড


এদিনের ভিড়িয়ো কন্ফারেন্সে দিল্লি ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউনের মেয়াদ  ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়েরের পরামর্শ, লকডাউন আরও ২ সপ্তাহ অন্তত বাড়ানো উচিত। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সুপারিশ করেন, লকডাউন করলে তা দেশজুড়েই করা উচিত। তা না করলে লকডাউনের সুফল পাওয়া যাবে না। লকডাউন শিথিল করা হলেও রেল সহ অন্যান্য যানবাহন বন্ধ রাখা উচিত।


দিল্লির পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, ছত্তীসগড়, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীরাও লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করেন। একই কথা বলেন, মায়াবতী ও স্ট্যালিনের মতো নেতাও।


এদিকে, ওড়িশা ও পঞ্জাবের মতো রাজ্য কেন্দ্রের তোয়াক্কা না করেই লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। নবীন পট্টনায়ক বলেন, চিনের এই ভাইরাস গোটা দুনিয়ার জন্য  আতঙ্কের। লকডাউনে কোনও আপত্তি নেই বলে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বিহার সরকার।


আরও পড়ুন-NRS-এর পর এবার আরজিকরেও সংক্রমণ, বন্ধ হতে পারে মেডিসিন ওয়ার্ড


প্রধানমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে বলেন, এই সময়ে আমাদের সবাইকে কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। কেন্দ্র সব সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। এই মহামারী আমাদের রুখতেই হবে। এনিয়ে যে কোনও পরামর্শ আমাকে যে কোনও সময় দেওয়া যেতে পারে।