নিজস্ব প্রতিবেদন: কসমস ব্যাঙ্ক প্রতারণায় নয়া তথ্য প্রকাশ্যে এল। পুনে পুলিসের সাইবার সেল জানাচ্ছে, পুনে, মুম্বই, কোলাহপুর এবং ইন্দোরের এটিএম থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সাফাই হয়েছে। সেই সব এটিএম-র সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি অনলাইন লেনদেনেও ব্যাঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায় বলে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করায় ‘দেশদ্রোহী’ সিধুর ফাঁসি হওয়া উচিত, দাবি বিজেপি নেতার


গত সপ্তাহে পুনের এই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৯৪.৪২ কোটি টাকা লুঠ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১১ এবং ১৩ অগস্ট ব্যাঙ্ক থেকে এই পরিমাণ টাকা চুরি করে হ্যাকাররা। ম্যালওয়্যার অ্যাটাকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয় টাকা। সাইবার সেলের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্যাঙ্কের সার্ভার সঙ্গে একটি সমান্তরাল ‘প্রক্সি সার্ভার’ তৈরি করে হ্যাকাররা। তার মাধ্যমে প্রায় নয় বছরের ব্যাঙ্কের ডেটা চুরি করে তারা। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কের ইস্যু করা ডেবিট এবং রুপে কার্ডের নথিও। পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে এটিএমে মাধ্যমে টাকা সাফাইয়ের কাজ চলে। এমনকি সুইফ্ট প্রযুক্তির মাধ্যমেও লুঠ করা হয়। একই ভাবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চেন্নাইয়ের একটি ব্যাঙ্ক থেকে ২০ কোটি টাকা চুরি করে হ্যাকাররা।


আরও পড়ুন- বিজেপির মুখ হয়ে দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নামতে পারেন গৌতম গম্ভীর


পুনের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিস (সাইবার অপরাধ এবং আর্থিক দুর্নীতি) জ্যোতি প্রিয়া সিং জানিয়েছেন, “ভিসা ও রুপে কার্ড-সহ গত নয় বছরের তথ্য হাতিয়েছে হ্যাকাররা। অনলাইন থার্ডপার্টি সিকিউরিটির ত্রুটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”


আরও পড়ুন- এতদিনে পুলিসের জালে রাজধানীর কুখ্যাত মহিলা ডন ‘মাম্মি’


উল্লেখ্য, পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে এই প্রতারণার পিছনে রয়েছে ২৮টি দেশের হ্যাকার চক্র। প্রথমে ৪০০টি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে ২.৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। জানা যাচ্ছে, মোট ২,৮০০ বার জাল লেনদেন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মোট ১২ হাজার বার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এই ৭৮ কোটি টাকা তুলে নেয় হ্যাকাররা। তবে, এই টাকা কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে যায়নি।দ্বিতীয় হ্যাকটি হয় ১৩ অগস্ট সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ। পুলিস জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে সুইফ্ট লেনদেনের মাধ্যমে ১৩.৯২ কোটি টাকা লুঠ করে হ্যাকাররা। এই টাকা হংকং-এর এএলএম ট্রেডিং লিমিটেড সংস্থার একটি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। ভারতের বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টেও লেনদেন হয়েছে।