নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামী কোভিড আক্রান্ত, হাসপাতালে ভর্তি সে। ঠায় তার কাছেই রয়েছেন দিনের পর দিন। শেষ সময়ে স্বামীর জন্য সামান্য জল আনতে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হল স্ত্রীকে।  এমনই অভিযোগ উঠেছে এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি চিকিৎসা না পেয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে,  তিনটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভাগলপুরে। সম্প্রতি টুইটারে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে অভিযোগ করতে দেখা যায়।  তিনি জানিয়েছেন, বেডে যে চাদর ছিল তা ময়লা হয়ে যাওয়ার পরও বদল করা হয় না। তিনি এও জানিয়েছেন, ভাগলপুরের হাসপাতালের কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে রেমডেসিভিরের শিশি নষ্ট করছেন। 


মহিলা জানিয়েছেন, ‘‘আমরা নয়ডার বাসিন্দা। হোলিতে দেশে (বিহারে) এসেছিলাম। ৯ এপ্রিল আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধূম জ্বর আসে তাঁর। প্রথমের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট আসতে দেরি হয়। তখন নয়ডার এক চিকিৎসকের পরামর্শে বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়। সেখানে দেখা যায় ফুসফুসে ৬০ শতাংশ সংক্রমণ রয়েছে।’’ 


 



‘‘পরের দিন আমার স্বামী ও শাশুড়িকে ভাগলপুরের গ্লোকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে ভালো পরিষেবা ছিল না। কর্মীরা কেউ থাকতেন না পাশাপাশি ওষুধও দিতে আসতেন না কেউ। জল চাইলেও কেউ আসত না।’’


মহিলা অভিযোগ করেন, ‘‘জ্যোতি কুমার নামে গ্লোকাল হাসপাতালে একজন কর্মীর কাছে স্বামীর জন্য জল ও চাদর বদলে দেওয়ার অনুরোধ করি। তখন তিনি ওড়নাতে টান দেন। এবং কোমরে হাত দিয়ে জোর করেন এবং জঘন্য হাসি হাসতে থাকেন। কিন্তু ভয় পেয়ে যাই। কিছু অভিযোগ করতে পারি না কারণ, স্বামী তাদের তত্বাবধানে রয়েছে।’’


এরপরই মহিলার অভিযোগ সামনে আসতেই স্থানীয় সরকারি কর্তারা হাসপাতালে গিয়ে অভিযুক্ত কর্মচারীকে বরখাস্ত করেন।