নিজস্ব প্রতিবেদন:  তৃতীয় দফতার লকডাউনও শেষ হতে চলেছে। দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে আর আত্মনির্ভরশীল ভারত গড়তে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আদৌ করোনা মোকাবিলায় কতটা এগোতে পারল দেশ? প্রশ্ন কিন্তু সেই থেকেই যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাফে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছেন, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি,  গত ২৪ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৮৭ জন
আর মৃতের সংখ্যা ২৮৭২।
 পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৬১।  মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের করোনা আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রের। মৃত্যুর নিরিখেও দেশের মধ্যে শীর্ষে এই রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১৩৫। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ হাজার।
এরপরই রয়েছে গুজরাট, রাজস্থানের স্থান। তবে আশার কথা এটাই, পশ্চিমবঙ্গের করোনা আক্রান্তের হার দেশের তুলনায় অনেকটাই ভালো। পরিসংখ্যান বলছে, গত সপ্তাহে এই হার ছিল ৪.৬৯ শতাংশ, এই সপ্তাহে তা কমে ৩.৩৩।


খাবার চেয়েছিল তাঁরা, খালি পেটেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সহ্য করতে হল পুলিসের লাঠি!
 ১৭ মে দেশে তৃতীয় দফতার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এদিকে, করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশ। অথচ বিদেশমন্ত্রক দাবি করছে, করোনা সংক্রমণের হারকে রেখাচিত্রের আকারে ফেললে দেখা যাবে, তা স্থিতিশীল, অর্থাত্ 'ফ্ল্যাট' । সুস্থতার হার ক্রমেই বেড়েছে।  তবে কেন সংক্রামিতের সংখ্যার গ্রাফচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী? প্রশ্ন কিন্তু তুলছেন দেশবাসী।
মে মাস থেকে জুন মাসের মধ্যে সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ার আশঙ্কা করেছিলেন গবেষকরা। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল কিন্তু আশ্বাস দিয়েছিলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই সংক্রমণ রোখা সম্ভব। স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করছে, যে হারে মানুষ সুস্থ হচ্ছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
এখন দেশে সংক্রমণের হার কবে আয়ত্তের মধ্যে আসে, সেটাই দেখার। চতুর্থ দফার লকডাউন হলেও কি তা আয়ত্তে আনা সম্ভব? দেশবাসীর আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।