নিজস্ব প্রতিবেদন- উত্তরপ্রদেশে চালু হচ্ছে গরু-মোষের জন্য আধার কার্ড। প্রতিটি গরুর জন্য থাকবে ১২ সংখ্যার ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর। সেই নম্বরের মাধ্যমে প্রশাসন গরুর যাবতীয় তথ্য খুঁজে পাবে। ইতিমধ্যে প্রতিটি গরুর কানে হলুদ রঙের একটি ট্যাগ লাগানো শুরু হয়েছে। সেই ট্যাগে আবার থাকবে একটি চিপ। সেই চিপ অ্যাকসেস করে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট গরুর ও মালিক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য হাতে পাবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা উত্তরপ্রদেশে এখন পাঁচ কোটি কুড়ি হাজার গরু-মোষ রয়েছে। ইতিমধ্যে এক কোটি ৩৩ লাখ গরু-মোষের কানে হলুদ রঙের ট্যাগ লাগানো হয়ে গিয়েছে। ৬৬ লাখ গরু ও ৬৭ লাখ মোষের কানে লেগেছে চিপ সমেত ট্যাগ। একটি বিশেষ ধরনের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডি চিপ-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট গরুর বয়স, লোকেশন, প্রজাতি, টিকাকরণের সময়, দুধ দেওয়ার পরিমাণ, ওজনসহ সবই জানা যাবে। এছাড়া ওই নির্দিষ্ট গরুর মালিক এবং তাঁর ফোন নম্বরও থাকবে সেই চিপে। অনেক সময় দেখা যায়, দুধ দেওয়ার ক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে সেই গরুকে গোয়াল থেকে তাড়িয়ে দেয় মালিক। ফলে রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে কখনো সেই গরু অনাহারে মারা যায়, কখনো বা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন জানাচ্ছে, প্রতিটি গরুর কানে ট্যাগ থাকলে এই ধরনের কাজ করার সাহস পাবে না পশুপালকরা।


আরও পড়ুন-  ১০ বছরের মেয়ে, এক ঘণ্টায় রাঁধল ৩৩টি সুস্বাদু পদ! এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ উঠল নাম


৩১ শে মার্চ ২০২১- এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি গরুর আধার কার্ড তৈরি হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে প্রশাসন। গরুর টীকাকরনের সময় সেই আধার কার্ড পশুপালকদের নিয়ে যেতে হবে। এক রাজ্যের গরু-মোষ আরেক রাজ্যে পাচার আটকানোর ক্ষেত্রেও এই আধার কার্ড ও ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর কাজে দেবে বলে জানাচ্ছে যোগীর প্রশাসন।