নিজস্ব প্রতিবেদন: নীতি না নেতা? দল না ব্যক্তি? গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা সর্বস্ব সিপিএমে দলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন ব্যক্তি, অন্তত তেমনটাই বলছে জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার। গোটা দলকে পিছনে ফেলে টুইটারে সীতারামই হয়ে উঠলেন সিপিএমের জনপ্রিয় মুখ। সাড়ে ৩ বছরে সিপিএম পৌঁছল মাত্র ১ লাখে, টুইটারে দলকেও ছাপিয়ে গেলেন সীতারাম।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টুইটারে ১ লাখ ফলোয়ার করতে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদীর সময় লাগল সাড়ে তিন বছর। সোশ্যাল মিডিয়ার রেকর্ড অনুযায়ী এই 'অ্যাচিভমেন্ট' একেবারেই 'আপ টু দ্য মার্ক' নয়। পশ্চিবঙ্গ থেকে দলের প্রথম সারির নেতাদের মিডিয়া সেলের দায়িত্ব দিয়েছে সিপিএম। সেখানে নাম রয়েছে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সসদ্য তথা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মেধাবী ছাত্র শ্রীদীব ভট্টাচার্যের। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টুইটারে পা রেখেছিল কাস্তে হাতুড়ি তারা। ৩ বছর ৭ মাসের মাথায় এসে মার্ক্সবাদী দলটির ফলোয়ার হল এক লক্ষ। সেখানে ২০১৫ সালের অক্টোবরে টুইটারে এসে গোটা দলের থেকে প্রায় দ্বিগুণ অনুগামী আদায় করে নিয়েছেন দলেরই সাধারণ সম্পাদক। সীতারাম ইয়েচুরির ফলোয়ার এখন ১ লাখ ৬৫ হাজার। 


উল্লেখযোগ্য ভাবে, টুইটার জনপ্রিয়তায় রাজ্য থেকে সবার ওপরে রয়েছেন বিদ্রোহী সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত ব্যানার্জি। দলের মোট টুইট অনুগামীর ২৫ শতাংশের সমান ফলোয়ার রয়েছে এই বিতর্কিত নেতার। অন্যদিকে ঋতব্রত যে নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সেই মহম্মদ সেলিম টুইট দুনিয়ায় তরুণ সাংসদের থেকে বেশ খানিকটাই পিছিয়ে। ঋতব্রত'র যেখানে টুইটার ফলোয়ার ২৩ হাজার সেখানে মহম্মদ সেলিম ১৬ হাজার ৮০০-তে দাঁড়িয়ে। হাজারো মত বিরোধ থাকলেও টুইটারে কিন্তু এই দুই নেতাই দুজনের ফলোয়ার (এখনও পর্যন্ত)। এই প্রতিযোগীতায় অবশ্য রাজ্যসম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সূর্যকান্ত মিশ্রকেও (১৬.৫ হাজার) পিছনে ফেলে দিয়েছেন ছাত্র-যুব নেতা ঋতব্রত।