নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় কোন পথে চলবে সিপিএম-কংগ্রেস? তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটিয়ে উঠতে পারেনি দুই দলই। তৃণমূলস্তরের রিপোর্ট পর্যালোচনা করার পর এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কংগ্রেস-সিপিএম। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলায় ক্ষমতা হারানোর পর থেকে সিপিএমের সংগঠন ভাঙতে শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গে কংগ্রেস কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। উত্তরবঙ্গে যেটুকু ছিল, তাও ঘাসফুলের দাপটে হাতছাড়া হয়েছে। এমতাবস্থায় বিরোধী পরিসর চলে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের হাতে। সিপিএম-কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের মতে, জোট করলে আখেরে দু'দলেরই ফায়দা হবে। তৃণমূলস্তরে পর্যালোচনা করলে রাজ্যের ৪২টি আসনে নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতাগুলি জানতে চাইছে তারা। 


সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য হান্নান মোল্লা বলেন,''পরের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে তৃণমূলস্তরের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে স্থির করা হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্বাচনী কৌশল''।


আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। একক শক্তিতে লড়াই বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও আলোচনার হওয়ার কথা । পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে দলের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গিন তা স্বীকার করে নিয়েছেন সিপিএমের এক নেতা। তাঁর কথায়, ''কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হলে কোন আসনটি আমরা জিতব, তা খতিয়ে দেখছি। তারপরই কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে রিপোর্ট পেশ করব''। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন,''আশা করছি সাম্প্রতিক অবস্থার পরিবর্তন হবে। কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উপরে মানুষ বিরক্ত। ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে বিকল্প হিসেবে চাইছেন মানুষ''। 


কংগ্রেস নেতারাও জেলায় জেলায় নিজেদের শক্তি খতিয়ে দেখছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, ''২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে জেতা আসন ধরে রেখে আসন সংখ্যা বাড়াতে চাই''। রাজ্যের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ নিজেও জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।


দিল্লিতে মহাজোটের তদ্বির করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দশ জনপথে গিয়ে দেখা করেছেন সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর ইদানীং সখ্যতা কি কংগ্রেস-সিপিএম জোটের পথে বাধা সৃষ্টি করবে? প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্যে মমতা এখনও জোট প্রস্তাব দেননি। ৪২টি আসন জেতার হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। মমতার সঙ্গে জোটের প্রশ্নই নেই। প্রদেশ নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাতছাড়া করতে চাইবে না কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। ফলে কংগ্রেস-সিপিএম সমঝোতা বিশ বাঁও জলে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। 


উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ২২টি আসন জয়ের টার্গেট করেছে বিজেপি। যুব মোর্চার সমাবেশে ফের একবার সে কথা দলের নেতা-কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে গিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। 


আরও পড়ুন- স্কুল পাঠ্যে 'মিলখা' ফারহান, শিক্ষামন্ত্রীকে ভুল শোধরানোর অনুরোধ অভিনেতার