নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষি বিল পাশ নিয়ে রাজ্যসভায় নজিরবিহীন হইহট্টগোল! ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, রুল বুকে ছিঁড়ে ফেলা, ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, সবই হলো কিন্তু বিরোধীদের হাতে নম্বর না থাকায় ধ্বনি ভোটে এ দিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি বিল পাশ করিয়ে নিল সরকার। এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের মন্তব্য, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হলো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যসভায় ২৪৫ আসনের মধ্যে এনডিএ-এর রয়েছে ১১৬ সদস্য। বিরোধীদের থেকে কিছুটা কম হলেও, বিল পাশ করিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হয়নি সরকারের। এর আগেও রাজ্যসভায় সংখ্যার বিচারে সরকার কিছুটা ব্যাকফুটে থাকেছে। কিন্তু বিল পাশে বরাবরই সিদ্ধহস্ত কৌশলী মোদী সরকার। শুরু থেকেই সংসদ উত্তপ্ত ছিল। এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস সরাসরি তোপ দেগে বলে, কৃষকদের মৃত্যুর পরোয়ানা এই ফার্ম বিল। কংগ্রেস কোনওভাবেই সমর্থন জানাচ্ছে না। সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও।


প্রবল হইহট্টগোলের জেরে ১০ মিনিটের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন। ফের অধিবেশন বসলে, ভোটের আর্জি জানান বিরোধীরা। বিরোধীদের কটাক্ষ, হাতে নম্বর না থাকায় ভোট করাতে ভয় পাচ্ছে সরকার। তবে, সরকার পক্ষের দাবি, আসনে বসে ভোটের দাবি না জানানোয়, ধ্বনি ভোটেই পাশ হয় 'কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন' এবং 'কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা  ও ক্ষমতায়ন চু্ক্তি' সংক্রান্ত বিল। লোকসভায় এই দুটি বিল ছাড়াও 'অত্যাবশক পণ্য আইন' সংশোধন বিলটি লোকসভায় ইতিমধ্যেই পাশ হয়ে গিয়েছে।


আরও পড়ুন- সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আগুনের মতো! সাত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রীর


বিরোধীরা চেয়েছিল এই বিলগুলি নিয়ে আরও আলোচনা করতে। সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর আর্জি জানানো হয়। বিরোধীদের কোনও কথা কর্ণপাত না করে ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর বিরোধীরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রুল বুক মেনে সংসদীয় রীতিনীতি পালন হচ্ছে না অভিযোগ এনে তৃণমূল সাংসদ রুল বুকই ছিঁড়ে দেন। ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ। ডেরেক জানান, সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে নৃশংস হত্যা করা হচ্ছে।