জি ২৪ ঘম্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অগ্নিগর্ভ মণিপুর। শনিবার ইম্ফলে ২ রাজ্যের মন্ত্রী ও ৩ বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ জনতা। শুক্র ও শনিবার মোট ৬ জন মেইতেই জনগোষ্ঠীর মানুষ অপহৃত হন। তাদের দেহ পাওয়া গিয়েছে। তারই প্রতিবাদে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফলে কার্ফু জারি করা হয়েছে। সাত জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'কাউন্সিলর খুনের চেষ্টায় হাত বিজেপি-সিপিএমে'র! বিস্ফোরক দাবি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের...


রাজ্যের এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছে ক্ষুব্ধ মানুষজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বপম রঞ্জনের বাড়িতে হামলা চালায়। পশ্চিম ইম্ফলে বিজেপি এমএলএ আর কে এমোর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। জনতার দাবি ৬ জনের মৃত্যুর পেছনে যারা রয়েছে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুঁজে বের করতে হবে।


পাঁচ দিন আগেই জিরিবাম জেলা থেকে একই পরিবারের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। ওই ছ’জন ছিলেন মেইতেই সম্প্রদায়ের। তাঁদের খোঁজ শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী।


শুক্রবার রাতে তিন জনের দেহ উদ্ধারের পর শনিবার উদ্ধার হল আরও তিন জনের দেহ। দেহগুলি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, উদ্ধার হওয়া দেহগুলি কি অপহৃত ছয় মহিলা ও শিশুর? ছ’জনের দেহ উদ্ধারের পর গোলমালের আশঙ্কায় ইম্ফল পশ্চিম এবং ইম্ফল পূর্বে কার্ফু জারি করা হয়েছে। বন্ধ সাত জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা।


পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় অসম-মণিপুর সীমানায় জিরি নদীতে ৩টি দেহ ভাসতে দেখা যায়। জিরিঘাট এলাকা থেকে ওই তিন দেহ উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে অসমের শিলচরের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সেই দেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হয়।


প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, ওই দেহ তিনটি প্রাপ্তবয়স্কদের। শনিবার ওই হাসপাতালের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দেহগুলির একটি মহিলার। বাকি দুই দেহ শিশুদের। জলে ভেসে ফুলে ওঠায় তদন্তকারীরা বয়স বুঝতে পারেননি।


শনিবার দুপুরে সরকারি একটি সূত্র ওই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, আরও তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। শিলচরের হাসপাতালে ময়াতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।


মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ১০ কুকি জঙ্গি। যদিও কুকি সম্প্রদায়ের দাবি, নিহত ১০ জন ছিলেন ‘গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী’। তাঁদের দেহ মিজ়োরামে নিতে চেয়ে গত সোমবার থেকে শিলচরের হাসপাতালের মর্গ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কুকিরা।


শনিবার সকালে পুলিশ ১০ জনের দেহ নিয়ে কুকি অধ্যুষিত চুরাচাঁদপুরের দিকে রওনা হলে তাদের ঘেরাও করেন কুকিরা। বিক্ষোভ দমন করতে লাঠি চালায় পুলিশ। এই ঘটনার পরে সতর্ক অসমের পুলিশও।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)