Demonetisation: ক্রমশ কমছে ২০০০ টাকার নোট; আগামী দিনে বাজারে কি তবে একেবারে পাওয়াই যাবে না?
Demonetisation: নোটবন্দি-উত্তর সময়ে ক্রমশ কমেছে ২০০০ টাকার নোট, আর ক্রমশ উপস্থিতি জোরদার হয়েছে ৫০০ টাকা ও ১০ টাকার নোটের। কিন্তু বড় অ্যামাউন্ট তো কখনও-সখনও প্রয়োজন পড়ে। এদিকে ২০০০ টাকার কারেন্সি নোট ক্রমশ কমতে থাকায় সংকটে পড়তে হয় বহু মানুষকে। সকলেরই প্রশ্ন, এরপর কী হবে?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নোটবন্দি ও তার পরে প্রায় কাছাকাছি সময়ের মধ্যেই বাজারে ২০০০ টাকার নোটের উদ্ভব। নোটবন্দি নিয়েই বহু মানুষের বহু অভিযোগ, বহু সংকটের মুখোমুখি হওয়া। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে ২০০০ টাকার নোট নিয়ে। ক্রমশই কমছে এই কারেন্সিটি। কী ভাবে বোঝা যাচ্ছে? এটিএমে টাকা তুলতে গেলে ২০০০ টাকা প্রায়শই আসে না।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চের শেষে মোট নোটের মাত্র ১.৬ শতাংশ নোট রয়েছে ২০০০ টাকার। যার পরিমাণ ২১৪ কোটি। চলতি বছরের মার্চের শেষ নাগাদ পর্যন্ত দেশে মোট নোটের সংখ্যা ১৩,০৫৩ কোটি। আগের বছর এই একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১২,৪৩৭ কোটি। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-র রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সালের মার্চের শেষে বাজারে ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল ২৭৪ কোটি। যা ছিল মোট প্রচলিত নোটের ২.৪ শতাংশ। সেই সংখ্যাই চলতি বছরে নেমে এসেছে ২১৪ কোটিতে। যা মোট নোটের মাত্র ১.৬ শতাংশ। ২০২১ সালের মার্চ মাসে ২০০০ টাকার নোট ছিল ২৪৫ কোটি। যা ছিল মোট নোটের ২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Demonetisation: নোটবন্দির ৬ বছর হল! দেশবাসীর হাতে নগদের পরিমাণ বেড়েছে, না কমেছে?
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের রাত ৮টায় ভারতীয় অর্থনীতিতে ঘটেছিল নোটবন্দি। সেই সন্ধ্যায় আচমকা ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। তার পর কেটে গিয়েছে ছ'টা বছর। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দুর্নীতি এবং কালো টাকায় রাশ টানার জন্যই তাঁর সরকারের এই পদক্ষেপ। কিন্তু দুর্নীতিতে কি রাশ টানা গিয়েছে? কালো টাকা কি ভ্যানিশ হয়েছে? নোটবন্দির পর থেকে এই সব প্রশ্নই তাড়া করে ফিরেছে দেশের সাধারণ মানুষকে, ভাবিয়েছে দেশের অর্থনীতিবিদদেরও।
নোট বাতিলের জেরে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্র চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোদী সরকারের এই নোট বাতিলের কাণ্ড-কারখানা রীতিমতো অবৈজ্ঞানিক এক ব্যাপার বলেও বার বার নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। তবে একথা ঠিক সরকার এর পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল লেনদেনের উপর জোর দিয়েছে। আর করোনা-কালে তা বেড়েছেও। কিন্তু দেশের প্রায় ১৫ কোটি মানুষের তো ব্যাংক অ্যাকাউন্টই নেই! ফলে তাঁদের সঞ্চয় তো নগদেই। সব মিলিয়ে নগদ শুধু চলছেই না, দিন দিন বাড়ছেও।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে, এ দেশে জনগণের হাতে এই মুহূর্তে রেকর্ড পরিমাণ নগদ টাকা রয়েছে। নোট বাতিলের চার দিন আগে, অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর ভারতীয় জনসাধারণের হাতে নগদ ছিল ১৭.৭ লক্ষ কোটি টাকা। আর এ বছরের গত ২১ অক্টোবরে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা! অর্থাৎ, ৬ বছরে মানুষের হাতে নগদ বেড়েছে। তার পরিমাণ ৭১.৮৪ শতাংশ!
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, ৫০০ টাকার নোটের সংখ্যা বাজারে বেড়েছে। এক বছর আগে দেশে ৫০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল ৩৮৬৭.৯০ কোটি। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৫৪.৬৮ কোটি। যদি শতাংশের হিসেব করা হয়, সেক্ষেত্রে ৫০০ টাকার নোটের পরিমাণ ৩৪.৯ শতাংশ। ৫০০ টাকার নোট ছাড়া বাজারে দাপট রয়েছে ১০ টাকার নোটের। যা মোট নোটের প্রায় ২১.৩ শতাংশ।