Demonetisation: নোটবন্দির ৬ বছর হল! দেশবাসীর হাতে নগদের পরিমাণ বেড়েছে, না কমেছে?
Demonetisation: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের রাত ৮টা। ভারতীয় ইতিহাসে একটি বিশেষ দিন। ভারতীয় অর্থনীতিতেও একটি মনে রাখার দিন। এদিনই ঘটেছিল সেই নোটবন্দি। আজ যে ঘটনার ৬ বছর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের রাত ৮টা। ভারতীয় ইতিহাসে একটি বিশেষ দিন। ভারতীয় অর্থনীতিতেও একটি মনে রাখার দিন। এদিনই ঘটেছিল সেই নোটবন্দি। আজ যে ঘটনার ৬ বছর। সেই সন্ধ্যায় রাতারাতি ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘটনা ঘটেছিল। তার পর কেটে গিয়েছে ছ'টা বছর। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর আচমকা সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দুর্নীতি এবং কালো টাকায় রাশ টানার উদ্দেশ্যেই তাঁর সরকারের এই পদক্ষেপ। দুর্নীতিতে কি রাশ টানা গিয়েছে? কালো টাকা কি ভ্যানিশ হয়েছে? নোটবন্দির পর থেকে এই সব প্রশ্নই তাড়া করে ফিরেছে দেশের সাধারণ মানুষকে, ভাবিয়েছে দেশের অর্থনীতিবিদদেরও।
নোট বাতিলের জেরে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্র চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোদী সরকারের এই নোট বাতিলের কাণ্ড-কারখানা রীতিমতো অবৈজ্ঞানিক এক ব্যাপার বলেও বার বার নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। তবে একথা ঠিক সরকার এর পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল লেনদেনের উপর জোর দিয়েছে। আর করোনা-কালে তা বেড়েছেও।
কিন্তু দেশের প্রায় ১৫ কোটি মানুষের তো ব্যাংক অ্যাকাউন্টই নেই! ফলে তাঁদের সঞ্চয় তো নগদেই। সব মিলিয়ে নগদ শুধু চলছেই না, দিন দিন বাড়ছেও।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে, এ দেশে জনগণের হাতে এই মুহূর্তে রেকর্ড পরিমাণ নগদ টাকা রয়েছে। নোট বাতিলের চার দিন আগে, অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর ভারতীয় জনসাধারণের হাতে নগদ ছিল ১৭.৭ লক্ষ কোটি টাকা। আর এ বছরের গত ২১ অক্টোবরে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা! অর্থাৎ, ৬ বছরে মানুষের হাতে নগদ বেড়েছে। তার পরিমাণ ৭১.৮৪ শতাংশ!