ওয়েব ডেস্ক : নীরবতা ভেঙে মুখ খুললেন সাইরাস মিস্ত্রি। টাটা সন্সের বোর্ডকে লেখা পাঁচ পাতার চিঠিতে সরাসরি আক্রমণ করলেন রতন টাটাকে। রতন টাটার ক্রমাগত হস্তক্ষেপে চেয়ারম্যান হয়েও কাজ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁর অপসারণের সিদ্ধান্ত বেআইনি বলেও অভিযোগ করেন সাইরাস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার টাটা সন্সের বোর্ডের সিদ্ধান্তে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাইরাস মিস্ত্রির অপসারণের খবরে চমকে যায় কর্পোরেট দুনিয়া। ৯ সদস্যের বোর্ডে ছ-জন তাঁকে সরানোয় সায় দেন। দু-জন মতামত দেননি। যেহেতু তাঁর অপসারণ নিয়ে আলোচনা তাই সংস্থার বিধি অনুযায়ী ওই বৈঠকে সাইরাসের ভোটদানের অধিকার ছিল না। অপসারণের পর এ বার নীরবতা ভেঙে বোর্ডের আট সদস্যকে ই-মেল করলেন তিনি।


অপসারণ অবৈধ ও বেআইনি। ই-মেলে সাইরাস লিখেছেন- 


টাটা সন্সের বোর্ডের সিদ্ধান্তে তিনি বিস্মিত। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে যে ভাবে তাঁকে সরানো হয়েছে তা কর্পোরেটের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ভাবে চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেওয়া বোর্ডের পক্ষে মোটেই গৌরবজনক নয়। তাঁর অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বেআইনি। ই-মেলে সরাসরি রতন টাটাকে কড়া আক্রমণ করেছেন সাইরাস মিস্ত্রি।


বোর্ডের সদস্যদের কাছে সাইরাসের অভিযোগ, রতন টাটার ক্রমাগত হস্তক্ষেপে তিনি লেমডাক চেয়ারম্যানে পরিণত হয়েছিলেন। টাটা সন্সের বিধি পরিবর্তন করে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়। সংস্থার অন্দরে তৈরি হয় ক্ষমতার একটি  সমান্তরাল কাঠামো।


তবে সাইরাস এখনই আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন না বলে তাঁর অফিস সূত্রে খবর। ডোকোমোর সঙ্গে চুক্তি, ব্রিটেনে ইস্পাত ব্যবসা বিক্রির মতো নানা বিষয়ে রতন টাটার সঙ্গে মতভেদের জেরে সাইরাস মিস্ত্রিকে সরতে হল বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর ঋণের পরিমাণ কমিয়ে, ক্ষতির মুখে পড়া সংস্থাগুলির ব্যবসা গুটিয়ে এনে যে পথে সাইরাস হাঁটছিলেন তা রতন টাটার পছন্দ হয়নি। গত সোমবার বোর্ড মিটিংয়ের আগে টাটা সাইরাসকে ইস্তফা দিতে বললেও তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর।  


সাইরাসের সতর্কতা


টাটা সন্সের বোর্ডকে লেখা চিঠিতে সাইরাস বলেছেন, টাটা গোষ্ঠীর পাঁচটি ব্যবসা অলাভজনক অবস্থায় রয়েছে। ভবিষ্যতে এর জন্য লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইরাসের অপসারণের পর টাটা গোষ্ঠীর ঋণ কমিয়ে আনা ও বিভিন্ন সংস্থার পুনর্গঠনের কাজে ভাটা পড়তে পারে। বুধবারও টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম পড়েছে। দু-দিনে TCS, টাটা মোটরস, টাটা স্টিল-সহ প্রথম সারির পাঁচটি সংস্থায় লগ্নিকারীদের সতেরোশো কোটি টাকার সম্পদ মুছে গেছে।