নিজস্ব প্রতিবেদন : ভিন্ন সম্প্রদায়ের ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় মেয়ের গলায় বিষ ঢেলে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবা, মা ও মামার বিরুদ্ধে। নৃশংসতার আরও নজির, মেয়েকে ৬ ঘণ্টা ধরে মাটিতে পড়ে কাতরাতে দেখেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে মহিশূরের গোল্লানাবিরু গ্রামে। পুলিস অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করলেও, ঘটনার পর থেকে পলাতক মা ও মামা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, গোল্লানাবিরু সংলগ্ন একটি গ্রামের এক দলিত যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অভিযুক্ত কুমার গৌরের মেয়ে সুষমার। সেই সম্পর্কই মেনে নিতে পারেনি তাঁর বাবা-মা। বারবার বোঝানোর পরও কাজ না-হওয়ায় এক আত্মীয়ার বাড়িতে মেয়েকে পাঠিয়ে দেয় সুষমার বাবা-মা। গত বছর ডিসেম্বর মাসে মেয়েকে ফের বাড়িতে এনে মত পাল্টানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
পুলিসি জেরায় কুমার গৌর জানিয়েছে, 'গত ২০ ফেব্রুয়ারি মেয়েকে ফের বাড়িতে ডাকা হয়। বারবার বোঝানোও হয়, ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার জন্য। কিন্তু, তারপরও মত পাল্টায়নি মেয়ে। নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিল সুষমা। তাই পরিবারের সম্মান বাঁচাতে তাঁকে খুন করেছি।'


আরও পড়ুন- গৌরী লঙ্কেশ হত্যা মামলায় ধৃত যুবকের সঙ্গে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের যোগ


জেরায় পুলিস জেনেছে, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ফলের রসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেয়েকে জোর করে খাওয়ায় কুমার গৌর, তার স্ত্রী জয়ন্তী ও সুষমার মামা কেম্পান্না। শরীরে বিষের প্রভাব ছড়াতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা। গৌর পুলিসকে জানিয়েছে, একটা সময় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিল সুষমা। ভোর ৪টে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। দিনের আলো ফোটার আগেই প্রমাণ লোপাটের জন্য চুপিসারে তাঁর দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।


ঘটনার দিন কয়েক পর শুক্রবার বিষয়টি জানতে পারে মহিশূর পুলিস। কুমার গৌরকে গ্রেফতার করা হলেও, সুষমার মা ও মামা ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।