নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে কাজের অগ্রগতি কেমন? কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা কতটা পৌঁছচ্ছে প্রান্তিক স্তরে? জনতা কেমন সাড়া দিচ্ছে? রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে কী কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে? মঙ্গলবার মূলত এই প্রশ্নগুলি নিয়েই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সামনে বসতে চলেছেন মোদী-শাহ। বিভিন্ন রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের কৌশল রচনার ক্ষেত্রে বিজেপির ১৫ মুখ্যমন্ত্রী এবং ৭ উপ-মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বিজেপি-র নতুন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মোদী-শাহর এদিনের এই ঘণ্টা দশেকের বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিহার এবং নাগাল্যান্ডে বিজেপির জোট সঙ্গী তথা 'বড় শরিক' যথাক্রমে সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ) এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স। এই দুই রাজ্যেই উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ বিজেপি-র দখলে। এছাড়া, বিজেপি শাসনাধীন উত্তরপ্রদেশে ২ জন এবং গুজরাট, অরুণাচলপ্রদেশ ও ত্রিপুরায় ১ জন করে উপ-মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। মঙ্গলবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী মিলিয়ে মোট ২২ জনকেই বসতে হবে মোদী-শাহ জুটির মুখোমুখি। সকলকেই তাঁদের সরকারের কাজের ভিত্তিতে একটি করে 'রিপোর্ট কার্ড' প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া, ১৫টি বিশেষ প্রকল্প-সহ সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পগুলির হালহকিকতও জানতে চাওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীদের কাছ থেকে।


সম্প্রতি অমিত শাহ সবকটি রাজ্যে সফর করে এসেছেন। রাজ্যগুলিতে সংগঠনের পরিস্থিতি তিনি নিজে পরখ করে দেখেছেন। কিন্তু, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে রাজ্যগুলি থেকে কতগুলি আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত, এদিনের বৈঠকে সেই সংখ্যাটাই জানতে চাওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে থেকে। পাশাপাশি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগঢ় (তিনটিই বিজেপি শাসিত রাজ্য) চলতি বছেরের শেষেই ভোট। ফলে, ওই রাজ্যগুলিতে দল কতটা প্রস্তুত সেই বিষয়টিরও চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে। সূত্রের খবর, ভোটমুখী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথকভাবেও আলোচনায় বসতে পারেন মোদী-শাহ। আজকের এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির জৌটসঙ্গী নির্ধারণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত পারে।


উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর এমন বৈঠক হয়। কিন্তু, বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মঙ্গলবারের এই আলোচনা বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুর পর এটিই বিজেপির প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। প্রয়াত নেতাকে স্মরণ করে ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এদিন বৈঠক শুরু হওয়ার কথা।