নতুন বছরে দেশবাসীকে উপহার! জরুরি ভিত্তিতে সারা দেশে দেওয়া হবে Corona Vaccine, জানাল DCGI
টীকাকরণ হবে জরুরি ভিত্তিতে। অর্থাত্, প্রয়োজন মতো এই ভ্যাকসিন-এর প্রয়োগ করা যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- শেষ পর্যন্ত দেশবাসীর জন্য স্বস্তির খবর। ভারতের দুটি ভ্যাকসিন Covishield ও Covaxin সারা দেশে প্রয়োগের অনুমতি দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। তবে আপাতত শর্তসাপেক্ষে ও জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন সারা দেশে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল DCGI. সম্পূর্ণ দেশজ দুটি ভ্যাকসিন Covishield ও Covaxin খুব শীঘ্রই বাজারে আসছে। তবে এখনই আপামোর দেশবাসীর টিকাকরণ হবে না। টিকাকরণ হবে জরুরি ভিত্তিতে। অর্থাত্, প্রয়োজন মতো এই ভ্যাকসিন-এর প্রয়োগ করা যাবে।
আরও পড়ুন- ব্রিটেনে মাথাচাড়া দেওয়া করোনার নয়া স্ট্রেনের কালচার করে সাফল্যে প্রথম ভারত
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, জরুরিকালীন বিষয়টি ঠিক কী! বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও ভ্যাকসিন-এর ট্রায়াল শেষ করতে অন্তত ৬ থেকে ৭ বছর সময় লেগে যায়। কিন্তু এই মহামারীর সময় ট্রায়ালে এতটা সময় ব্যয় হলে মুশকিল। তাই যা করতে হবে তাড়াতাড়ি। ফলে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে প্রয়োগের পর সেই ডেটার উপর নির্ভর করে চলবে সারা দেশে টিকাকরণ। নেওয়া হবে ড্রাই রান-এর ডেটা-ও। সারা দেশে ভ্যাকসিন বন্টন ও প্রয়োগের তদারকির জন্য কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই কমিটি ইতিমধ্যে দেশজ দুটি ভ্যাকসিনের আপতকালীন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এবার ডিসিজিআই জানিয়ে দিল, জরুরি ভিত্তিতে দুটি ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা যাবে।
টিকাকরণের ক্ষেত্রে DCG-এর অনুমোদনের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। ভ্যাকসিনের ড্রাই-রান প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এদিন ডিসিজিআই-এর শীর্ষ কর্তাও সাংবাদিক বৈঠকে সেটাই উল্লেখ করেছেন। অর্থাত্, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য ভারতের কাছে এখন দুটি অস্ত্র রয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, টিকাকরণের জন্য ইতিমধ্যে 1,14,100 জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের ১২৫টি জেলার ২৮৬টি কেন্দ্রে এই ড্রাই রান হয়েছে।