DCW Chief Swati Maliwal: দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের `শ্লীলতাহানি`, ভোর রাতে ১০-১৫ মিটার টেনে নিয়ে গেল গাড়ি
দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পর থেকেই গাড়িটিকে ধরার জন্য তত্পরতা শুরু করে পুলিস। রাত ৩টে ১৫ নাগাদ গাড়িটিকে আটক করা হয় কোটলা মুবারকপুরে। তখনই ওই গাড়ি চালককে গ্রেফতার করা হয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহিলাদের জন্য কি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে রাজধানী! বর্ষবরণের রাতে দিল্লির সুলতানপুরীতে এক মহিলাকে ১৩ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গিয়েছিল ৫ মত্ত যুবকের একটি গাড়ি। এবার দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালকে ১০-১৫ মিটার টেনে নিয়ে গেল একটি গাড়ি। তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে দিল্লি এইমসের ২ নম্বর গেটের বাইরে।
আরও পড়ুন-মনে-প্রাণে বাঙালি, আনন্দ বোসের বাংলায় 'হাতেখড়ি' মমতার সামনেই
ওই ঘটনায় হরিশ চন্দ্র(৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস। শ্লীলতাহানি ও ইচ্ছকৃত আঘাত করার অভিযোগ এনে হরিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। ঘটনার রাতে পিসিআর-এ একটি ফোন আসে। সেখানে বলা হয় ব্যালেনো গড়িতে চড়ে এক ব্যক্তি এক মহিলাকে কুত্সিত অঙ্গভঙ্গি করছে তা তাকে গাড়িতে আটকে রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
ডিসিপি সাউথ সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, ওই ফোন পাওয়ার পর আমাদের স্পেশাল পেট্রোলিং ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। হাসপাতালের বাইরে তাকে দেখতে পায় পুলিস। পরে স্বাতী মালিওয়ালের পরিচয় জানা যায়। তাঁর দাবি, একটি ব্যলোনো গাড়িতে চড়ে এক ব্যক্তি এসে তার কাছে গাড়ি থামায়। তাঁকে গাড়িতে উঠতে বলে। কিন্তু তাতে সাড়া না দিলে সে চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ফের ফিরে আসে। ফের তাকে গাড়িতে বসতে বলে। তখন তিনি জানালা হাত বাড়িয়ে ওই গাড়িচালককে ধরতে যান। তখনই সেই গাড়ি চালক গাড়ির জানালার কাচ বন্ধ করে দেয়। জানালায় হাত আটকে যাওয়া অবস্থায় তাকে প্রায় ১০-১৫ মিটার টেনে নিয়ে য়ায় গাড়িটি।
দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পর থেকেই গাড়িটিকে ধরার জন্য তত্পরতা শুরু করে পুলিস। রাত ৩টে ১৫ নাগাদ গাড়িটিকে আটক করা হয় কোটলা মুবারকপুরে। তখনই ওই গাড়ি চালককে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনার পর মালিওয়ালের লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। গাড়িটি ও অভিযুক্তের মেডিক্যাল টেস্ট করা হচ্ছে।
ওই ঘটনার পর মালিওয়াল এক ট্যুইট করে জানিয়েছেন, গতরাতে একটি ঘটনার তদন্তে গিয়েছিলাম। এক গাড়ির মত্ত গাড়ি চালক আমার শ্লীলতাহানি করে। আমি যখন ওকে ধরতে যাই তখন ও ওর গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেয় এবং আমাকে টানতে টানতে নিয়ে যায়। কপালগুণে বেঁচে গিয়েছি। মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান যদি নিরাপদ না হয় তাহলে কীরকম পরিস্থিতি বুঝুন।