নিজস্ব প্রতিবেদন: যমালয় নয়। হাসপাতালের মর্গে জীবন্ত মানুষ! তাও একদিন নয়। টানা তিনদিন। মর্গে আরও দুটি দেহের সঙ্গে পড়েছিলেন মহম্মদ হুসেন। অবশেষে ভুল ভাঙে। অসমের তিনসুকিয়া জেলার সরকারি হাসপাতাল থেকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় মহম্মদ হোসেন নামে ওই ব্যক্তিকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃতদেহের সঙ্গে অচেতন অবস্থায় কেটেছে মহম্মদ হুসেনের। যখন জ্ঞান ফিরেছে তখন বোধ আর কাজ করেনি। হুসেনের হয়তো মনে হয়েছিল, 'বোধহয় মৃতদেহের সঙ্গে থাকার সময় মনে হচ্ছিল সত্যিই মরে গেছি--রয়েছি  জন্নাত কিম্বা জাহান্নামে।' মহম্মদ হুসেন কী ভাবছিলেন কেউ জানে না। জানার কথাও নয়। কারণ মহম্মদ হুসেন বলার অবস্থাতেই ছিলেন না। তাঁর নড়ন চড়ন দেখে হাসপাতালের কয়েকজনের মনে হয় জীবিত ব্যক্তি। তারপর হইচই।



জীবিত ব্যক্তিকে মৃতদের সঙ্গে রেখে দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অসমের তিনসুকিয়া জেলার লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ অসামরিক চিকিত্‍সাকেন্দ্রে মহম্মদ হুসেনকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে জিআরপি। আর হাসপাতালের নার্স, চিকিত্‍সকরা কোনও কিছু না দেখেই যেখানে হাসপাতালের মৃতদেহ থাকে সেখানে রেখে দিয়ে জীবন্ত মহম্মদ হুসেনকে।


গোটা ঘটনায় হাসপাতালের দায় নেই বলে দাবি করেছেন সুপার এনসি মহন্ত। তাঁর কথায়, 'আমাদের হাসপাতালে কোনও মর্গ নেই। আমাদের আইসোলেটেড ওয়ার্ড রয়েছে। পুলিসের পাঠানো রোগীকে সেখানেই রাখা হয়। তিনজন রোগীর মধ্যে আর একজনের নাম ছিল মহম্মদ হুসেন। সেখানেই বিভ্রান্তি হয়েছে'।    


সুপারের ব্যাখ্যায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃতদেহ রাখা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 


আরও পড়ুন- গত ১ বছর ধরে উধাও মেডিক্যালের আউটডোর কাউন্টারের টাকা, ভ্রুক্ষেপহীন কর্তৃপক্ষ