নিজস্ব প্রতিবেদন : বাড়তে থাকা দেনা ও আর্থিক অনটনের ফলে দুশ্চিন্তা। আর তার জেরেই নিজের মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে আত্মঘাতী হল যুবক। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কর্ণাটকের চামারাজানগরের একটি ফাঁকা জমিতে মিলল একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের গুলিবিদ্ধ দেহ। আত্মঘাতী যুবকের হাতেই ধরা ছিল একটি বন্দুক। তার থেকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান পরিবারের বাকি সদস্যদের গুলি করার পর সেই বন্দুক ব্যবহার করেই আত্মঘাতী হন ওই ব্যক্তি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



আত্মঘাতী যুবক ওঙ্কার প্রসাদ মহীশুরের বাসিন্দা। মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বান্দিপুর জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে নিজেদের গাড়ি করে গুন্ডলুপেটের একটি হোটেলে আসেন তাঁরা। তারপরেই গাড়ির ড্রাইভারকে বাড়ি চলে যেতে বলেন ওই ব্যক্তি। 


তদন্তকারী পুলিসের অনুমান রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ঘটনাটি হয়েছে। তবে, অত রাতে কী করে একটি ফাঁকা জমিতে তাঁরা গেলেন, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। হোটেল তন্ন তন্ন করেও কোনও সুইসাইড নোটেরও হদিশ পাননি তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্তে নেমেছেন আগ্নেয়াস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। 


আরও পড়ুন: কাশ্মীরের পরিস্থিতি কি আদৌ বদলাল? চিন পাকিস্তানের অনুরোধে বিশেষ বৈঠক ডাকল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ


চামারাজানগরের পুলিসের এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিকভাবে এটি খুন করে আত্মহত্যা বলেই পুলিস মনে করছে। আর্থিক অনটন ও দেনার ভার সহ্য করতে না পেরেই এমন ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, ঘটনার পেছনে অন্য কোনও কারণ বা ব্যক্তি আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চালানো হবে বলে জানায় পুলিস।