নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজধানীর ময়দানে আবার গোহারা বিজেপি। দু' অঙ্কও পেরলো না আসন। মেরুকরণের সব চেষ্টাই পড়ল মুখ থুবড়ে। দিল্লির মসনদে থেকেও দিল্লি অধরা রয়ে গেল মোদী-শাহর। ৬২টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ৮টি আসন। গতবারের চেয়ে ৫টি বাড়িয়েছে তারা। শূন্য হাতেই ফিরল কংগ্রেস।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২২ বছর পেরিয়েও দিল্লি দূর অস্ত। জামিয়া-শাহিনবাগকে নিশানা। আন্দোলনকারীদের বিরিয়ানি খাওয়ানোর অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেই সন্ত্রাসবাদী তকমা! কাজে এল না কোনও কৌশলই। নিট ফল জিরো। 


প্রচারে ২৫০ জন সাংসদ। প্রায় গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অমিত শাহের ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন। পরপর রোড শো। হিন্দুত্বের হাওয়া তুলতে মাত্র ৭০টি বিধানসভার জন্য যোগী আদিত্যনাথের ১২টি জনসভা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ৩৭০ ধারা রদ, রাম-মন্দির নিয়ে প্রচার। আর সবার ওপরে মেরুকরণের চেষ্টা। ভোটারদের বোঝাতে চাওয়া, জামিয়া-শাহিনবাগে জাতীয় পতাকার আড়ালে চলছে দেশ-বিরোধিতা। ভোটের ফল বলছে, 


গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় নামমাত্র আসন বাড়ল বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় আসন কমল প্রায় ৬০টি। গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় মাত্র ৪.৫% ভোট বাড়ল বিজেপির। লোকসভা ভোটের তুলনায় ভোট কমল প্রায় ১৮%.


শাহিনবাগকে কারেন্ট খাওয়ানোর কথা বলে সুরটা বেঁধে দেন অমিত শাহ। তাঁকে অনুসরণ করেন, অনুরাগ ঠাকুর, প্রবেশ বর্মা, গিরিরাজ সিংরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিল্লিতে বিজেপির পরাজয়, অমিত শাহের ব্যক্তিগত পরাজয়। মেরুকরণের চেষ্টা কাজে আসেনি। বরং সংখ্যালঘু ভোট ভাগ না হয়ে চলে গেছে আপে। আপের উন্নয়ন মডেলকে চ্যালেঞ্জ করার দিকে না গিয়ে শুধুই মেরুকরণের চেষ্টা ভোটাররা ভালোভাবে নেননি।  


সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষাই ভুল প্রমাণিত হবে বলে জোরের সঙ্গে দাবি করছিলেন বিজেপি নেতারা। ভোটে ফলে তাঁরাই ভুল প্রমাণিত হয়ে গেছেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই এখন বলছেন দিল্লিতে মাত্র দুটি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মাফলারম্যানের সঙ্গে এঁটে ওঠা যাবে না বুঝেই কি মোদীর ঘাড়ে যাতে দায় না পড়ে, সেজন্য নেওয়া হয়েছিল আগাম ব্যবস্থা!


আরও পড়ুন- 'আপ'নিই থাকছেন কেজরীবাল, জনাদেশ দেশের রাজধানীর