নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানান, দিল্লি বিধানসভার ভোটগ্রহণ করা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। গণনা হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।  ভোট নেওয়া হবে একদফায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জেএনইউ-তে হামলা ‘২৬/১১’-র ঘটনা মনে করাচ্ছে, তোপ বিজেপির প্রাক্তন শরিকের


সত্তর আসনের দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২২ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই শপথ নিতে হবে নতুন সরকারকে।  দিল্লি বিধানসভার ফলাফল কেজরিওয়ালের সঙ্গে বিজেপির কাছেও এক বড় চ্যালেঞ্জ।  রবিবার দিল্লিতে অমিত শাহের সভা থেকেই তা টের পাওয়া গিয়েছিল।  গত একবছরে পাঁচ রাজ্যে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। ফলে এবার দিল্লিতে বড় পরীক্ষার সামনে বিজেপি।




আরও পড়ুন-আতঙ্কের কারণ নেই, প্রক্টরের আবেদন সত্ত্বেও ক্যাম্পাস ছাড়ছেন জেএনইউয়ের বহু পড়ুয়া


নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, মোট ১৩,৭৫০ বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোট দেবেন ১ কোটি ৪৬ লাখ ভোটদাতা।  নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে জারি হয়ে যাচ্ছে আদর্শ আচরণবিধি।  নির্বাচনের নোটিফিকেশন জারি হবে ১৪ জানুয়ারি।  মনোনয়ণ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ জানুয়ারি। ২২ জানুয়ারি ওইসব মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ জানুয়ারি।



উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৭০ আসনের মধ্যে ৬৭ আসন পেয়েছিল আম আদমি পার্টি। খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস। বিজেপি থেমে যায় মাত্র ৩টি আসনেই। তবে এবারের পরিস্থিতি খানিকটা হলেও ভিন্ন। দুপক্ষের জন্যই তা সত্যি।


দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনকে এবার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। তাদের হাতে তিন তালাক আইন, নাগরিকত্ব আইন, অযোধ্যা মামলা নিস্পত্তির মতো বেশ কয়েকটি ইস্যু। অন্যদিকে, বিজেপির কয়েকটি ইস্যুকেই হাতিয়ার করতে পারেন কেজরিওয়াল। বিশেষ করে নাগরিকত্ব আইন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার মতো ইস্যু।  বিজেপি একদিকে যেমন রাজ্যের বেআইনি বস্তিগুলিতে নাগরিক সুবিধে দেওয়ার ওপরে জোর দিচ্ছে তেমনি গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। যমুনার পাড় বাঁধিয়ে তা ছটপুজোর জন্য ব্যবহার করার কথাও শুনিয়েছেন অমিত শাহ। পাশাপাশি কেজরিও কম যান না। মাসে ২০০ ইউনিট বিদ্যুত ফ্রি, জল ফ্রি-তে দেওয়ার মতো কথাও তুলে ধরছেন কেজরিওয়াল।