ভারতের আত্মার জয়, সিএএ-বিক্ষোভের আবহে দিল্লির ভোটের ফলে মত প্রশান্তের
গতবারের চেয়ে ভোটের হার বৃদ্ধি হলেও দিল্লি অধরাই থাকল বিজেপির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শাহিনবাগকে তুলতে চাইলে পদ্মে ভোট দিন। দিল্লিবাসীকে বার্তা দিয়েছিলেন অমিত শাহ। ভোটের শেষবেলায় মেরুকরণের ফায়দা তুলে চিরাচরিত অস্ত্র হিন্দুত্ব প্রয়োগ করেছিল শাহ-মোদী জুটি। বিরোধীরা ডাক দিয়েছিল, রুখে দিন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। ভোট দিন উন্নয়নে। বিজেপির মেরুকরণের ছকে পা না দিয়ে উন্নয়ন ও কেজরীবালের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে ভোটে লড়াই করেছিল আম আদমি পার্টি। আপের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর মঙ্গলবার টুইটে বুঝিয়ে দিলেন, মেরুকরণের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ভোটাররা।
ভোটের প্রবণতায় আপের জয় স্পষ্ট হতেই প্রশান্ত কিশোর বিঁধলেন বিজেপিকে। তিনি টুইট করলেন,''ভারতের আত্মাকে বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ দিল্লি।'' ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর রণনীতিকার ছিলেন প্রশান্ত।কিন্তু পরে সম্পর্কে চিড় ধরে। নীতীশ কুমার ডেকে নেন প্রশান্তকে। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের রণনীতিকারও ছিলেন 'বিহারিবাবু'। পশ্চিমবঙ্গে এখন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে রয়েছেন। আর বিজেপির সঙ্গে প্রশান্তের সম্পর্ক এখন আদায়-কাঁচকলায়। এনআরসি-সিএএ নিয়ে নীতীশকেও বিঁধেছেন প্রশান্ত কিশোর।
সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর প্রথম একটা রাজ্যে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রথমেই হোঁচট খেল গেরুয়া শিবির। সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে শাহিনবাগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সংখ্যালঘু মহিলারা। ওই বিক্ষোভকে ভারত ভাঙার ছক বলে দেগে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। শাহিনবাগ বিক্ষোভের নেপথ্যে বিরোধীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদীও।
গতবারের চেয়ে ভোটের হার বৃদ্ধি হলেও দিল্লি অধরাই থাকল বিজেপির। অরবিন্দ কেজরীবালের উন্নয়নের রাজনীতিতেই ভরসা রাখলেন আম আদমি। বিরোধীরা এখনই বলতে শুরু করেছে, দিল্লি দেখিয়ে দিল মানুষ সিএএ-র বিপক্ষে। যদিও বিজেপি নেতারা বলছেন, দিল্লির ভোট হয়েছিল স্থানীয় ইস্যুতে। ২০১৯ সালে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেই তো ছিল সিএএ। তখন মানুষ সিএএ-র সমর্থনে ভোট দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- হনুমান জি-কে ধন্যবাদ, 'রামভক্ত'দের হারিয়ে 'নরম হিন্দুত্বে' আস্থা কেজরীর