নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে এবার গোয়েন্দাদের নজরে বেশ কয়েকজন ইরানি নাগরিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণস্থলের অদূরে খামের ভেতরে পাওয়া যায় একটি চিঠি। সেই চিঠিতে ইরানের(Iran) নিহত জেনারেল কাসেম সোলেইমানি(General Qasem Soleimani) ও দেশের শীর্ষ বিজ্ঞানী মোসেন ফারকিজাদেকে শহিদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই দুজনের মধ্যে কাসেম সোলেমানি খুন হন বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে এক মার্কিন বিমান হানায়। অন্যদিকে, গত বছর ২৭ নভেম্বর ইরানের ওই পরমানু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয় তেহরানে। এখন ওই চিঠির সূত্র ধরেই এগোচ্ছেন গোয়েন্দারা।


আরও পড়ুন-'Mamata এখন অতীত, আঁচল পেতে উন্নয়ন চাইব শাহের কাছে', BJPতে যোগদানের আগে Rajib


ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওইসব ইরানি নাগরিকদের অনেকেই দিল্লিতেই রয়েছেন। এদেরই জেরা করছে দিল্লি পুলিসের(Delhi Police) স্পেশাল সেল। বিস্ফোরণস্থলে পাওয়া আধপোড়া পিঙ্ক রঙের স্কার্ফকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। যে চিঠিটি বিস্ফোরণস্থলের অদূরে পাওয়া গিয়েছে সেখানে লেখা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে মারার কোনও উদ্দেশ্য আমাদের নেই। আমাদের সেনা জেনারেল ও বিজ্ঞানীর খুনের বদলার এটা ট্রায়াল মাত্র। 


এদিকে, ওই বিস্ফোরণের তদন্তে নেমেছে এনএসজি(NSG)। কীভাবে ওই জায়গায় বোমা রাখা হয়েছিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড(NSG)। এনএসজির পাশাপাশি বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখেছে দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ, স্পেশাল সেল এবং এনআইএ-র গোয়েন্দারা।


আরও পড়ুন-একের পর এক বিতর্কিত রায়,পুষ্পা গানেড়িওয়ালার চাকরি স্থায়ী করল না সুপ্রিম কোর্ট


অন্যদিকে, দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের দায় নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ(Jaish Ul Hind)। উপমহাদেশে এই জঙ্গি সংগঠনের তত্পরতায় তেমন কোনও খবর আগে পাওয়া যায়নি। দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে টেলিগ্রামে তাদের তত্পরতা চোখে পড়েছে গোয়েন্দাদের। আজ সকালে টেলিগ্রামে একটি পোস্ট করে জইশ-উল-হিন্দ। সেখানে লেখা হয় দিল্লির বুকে একটি একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আল্লাহর কৃপায় দিল্লির একটি হাই সিকিউরিটি জোনে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটাতে পেরেছে জইশের সেনারা। ভারতের বিরুদ্ধে এভাবেই একটি সিরিজ হামলার সূচনা করা হল। ভারতে যেভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যাচার করেছে এটা তার বদলা। অপেক্ষা করুন। আমরাও অপেক্ষা করছি।