জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেয়ের শখ ছিল ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের। সেইমতো ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ভেন্যুও ঠিক হয়। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্যের মাঝে অবস্থিত বিলাসবহুল এক রিসর্টে ঠিক হয় বিয়ের ভেন্যু। সেইমতো দিল্লি থেকে নৈনিতালের নাকুচিয়াতালের ওই রিসর্টে গিয়ে পৌঁছন ২৮ বছরের তরুণী শ্রেয়া জইন। বিয়ে নিয়ে যথেষ্ট আনন্দে ছিলেন ২৮ বছরের তরুণী। কিন্তু সেই আনন্দ লহমায় বদলে গেল বিষাদে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবার সঙ্গে মিলে মেহেন্দি অনুষ্ঠানে নাচছিলেন ওই তরুণী। নাচতে নাচতে হঠাৎ-ই পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন পরিবারের লোকেরা। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। যেখানে সবাই বিয়ের আনন্দে মশগুল হবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন, সেখানে এক লহমায় শুধু কান্নার রোল। বিয়ের হোম-যজ্ঞের আগুন জ্বলে ওঠার বদলে মেয়ের মুখাগ্নি করে চিতায় আগুন দিলেন বাবা। মেয়েকে 'বিদাই'য়ের পর শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর বদলে কাঠগুদামে মেয়ের শেষকৃত্য সেরে চিরবিদায় জানিয়ে দিল্লি ফিরে আসে শোকসন্তপ্ত পরিবার।


জানা গিয়েছে, ২৮ বছরের ঝকঝকে তরুণী শ্রেয়া বি.টেক-এর পর এমবিএ করেছিলেন। লখনউয়ের বাসিন্দা পাত্র লখনউয়ের-ই একটি আইটি কোম্পানিতে কাজ করেন। নিজের বিয়ে নিয়ে খুবই খুশি ছিলেন শ্রেয়া। বন্ধুবান্ধব সবাইকে নিয়ে মেতেছিলেন বিয়ের আনন্দে। রবিবার ছিল বিয়ে। তার আগে শনিবার সন্ধ্যায় ছিল মেহেন্দির অনুষ্ঠান। আর সেই মেহেন্দির অনুষ্ঠানেই সব শেষ... প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে কার্ডিওপালমোনারি জটিলতার কারণেই আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে শ্রেয়ার। শ্রেয়ার বাবা সঞ্জয় জইন নিজে একজন ডাক্তার। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। মেয়ে শ্রেয়ার নামে 'শ্রেয়া স্পেশালিস্ট পলিক্লিনিক' চালান তিনি।


আরও পড়ুন, Kanchanjunga Express Accident | Malda: পাহাড় দেখার সাধ ছিল মেয়ের! শখপূরণ বাবা-মায়ের হাত ধরে আর বাড়ি ফেরা হল না ৬ বছরের খুদের...



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)