নিজস্ব প্রতিবেদন:  কার্যত অসহায় অবস্থায় সাংবাদিক বৈঠক করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। মুখে শান্তির বার্তা দিলেও, নিরাপত্তার দেওয়ার বিষয়ে খুব একটা আশ্বস্ত করতে পারলেন না। কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, কম সংখ্যক পুলিস থাকায় হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে অক্ষম। উপর মহল থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত পুলিস কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না। প্রসঙ্গত, দিল্লির পুলিস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কব্জায়। হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা। আরও ১৩ কোম্পানি আধাসেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেলা ১২টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এর আগে উত্তর-পূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী বৈঠক তলব করেন কেজরী। তাঁর বাসভবনে বিধায়ক এবং অফিসারদের ডাকা হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। সাংবাদিক বৈঠকে অরবিন্দের বার্তা, শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি দিল্লিবাসীর কাছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসায় অনেক সাধারণ মানুষ এবং পুলিস কর্মী আহত হয়েছেন। দোকান, বাড়ি জ্বালানো হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যবশত। পুলিস সংখ্যা কম থাকায় হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। জেলা শাসকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরই বিস্তারিত জানাবেন বলে অরবিন্দ কেজরীবাল।


আরও পড়ুন- রাইসিনা হিলে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে অভ্যর্থনা মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে


 CAA র পক্ষে বিপক্ষে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র জাফরাবাদ। প্রকাশ্যেই চলেছে গুলি। গতরাতে ব্রহ্মপুরীতে নতুন করে গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে। সকালেও ব্রহ্মপুরীতে  দেদার পাথরবৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিসকর্মী সহ পাঁচজনের। জখম ১৬০। একাধিক এলাকায় জ্বলেছে আগুন। পরপর পুড়েছে গাড়ি, দোকান। কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে গতকালই নামানো হয়েছে আধাসেনা। অবস্থা এতটাই খারাপ যে উত্তর-পূর্ব দিল্লির সব স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বন্ধ রয়েছে জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জহরি এনক্লেভ ও শিব বিহার মেট্রো স্টেশন। পরিস্থিতি সামলাতে হিংসা কবলিত এলাকার বিধায়ক ও প্রশাসনিক কর্তাদের জরুরি বৈঠকে ডাকলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি টুইটে জানান, দিল্লির বেশ কিছু জায়গার অশান্তি নিয়ে চিন্তিত। শহরে শান্তি ফেরাতে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। হিংসা থেকে বিরত থাকার বার্তা দেন তিনি। গতরাতে জরুরি বৈঠক সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লি পুলিস ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।