জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছটপুজো উপলক্ষ্যে এবার বড় ঘোষণা করল দিল্লি সরকার। আগামী ৩০ অক্টোবর রবিবার ছটপুজো। এদিন দিল্লি 'দারু বন্ধ'। ছটপুজোর দিনে দিল্লিতে ড্রাই ডে ঘোষণা করেছেন দিল্লির গভর্নর। ওই দিন দিল্লিতে মদ বিক্রি বন্ধ রাখতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অনুরোধ করেছিলেন দিল্লি বিজেপির প্রধান আদেশ গুপ্তা। তিনি দাবি করেন ছটপুজোর পবিত্রতা বজায় রাখতে ওইদিন মদ বিক্রি বন্ধ রাখা হোক রাজধানীতে। গভর্নর পুজোর দিন মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করায় টুইটারে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আদেশ গুপ্তা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-চিনকে 'বড় বিপদ' বলে উল্লেখ করে কেন ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠতার কথা আমেরিকার মুখে? 


রাজধানীতে ছটপুজো উপলক্ষ্যে বিপুল মানুষের সমাগম হয় যমুনার ঘাটে। পূর্বাঞ্চলীদের গুরুত্বপূর্ণ পরব এই ছটপুজো। মূলত বিহার ও পূর্ব উত্তর প্রদেশের মানুষজন ছটপুজোয় মেতে ওঠেন। কিন্তু ছটের ভাসানের ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন দিল্লির গভর্নর। এনিয়ে কেজরিওয়ালকে সতর্ক করেও দিয়েছেন গভর্নর। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যমুনার কোন কোন ঘাটে ছটের বিসর্জন হবে তা স্পষ্ট করে দিতে হবে দিল্লি সরকারকে।


ছটপুজোতে সন্তানের মঙ্গল কামনায় টানা ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করেন তাদের অভিভাবকরা। শেষদিনে নদীতে সূর্যদেবের উদ্দেশ্য তর্পণ করে উপবাস ভঙ্গ করেন তাঁরা। এই সময় প্রচুর মানুষের সমাগম হয় নদীর ঘাটে ঘাটে। সেকথা মাথায় রেখে যমুনার যেসব ঘাটে বিসর্জন হবে সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।


ছটে সূর্য দেবকে পুজো করা হয়। কোনও মূর্তিপুজো হয় না। চারদিনের এই ব্রতের প্রথম দিনে ব্রতধারী বাড়িঘর পরিষ্কার করে স্নান সেরে শুদ্ধাচারে নিরামিষ খান। পরদিন থেকে উপবাস শুরু। তৃতীয় দিনে নিকটবর্তী নদী বা জলাশয়ে গিয়ে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য অর্পণ। ব্রতের শেষদিনে অর্থাৎ চতুর্থদিনে পুনরায় ঘাটে গিয়ে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্যপ্রদান। এর পরে উপবাসভঙ্গ। বিহার, উত্তর প্রদেশ ছাড়া অন্যান্য রাজ্যেও এই পুজো হয়। মধ্যপ্রদেশ,পশ্চিমবঙ্গ ও নেপালেও এই উৎসব পালিত হয়।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)