নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশজুড়ে ঘাটতি অক্সিজেনের। এনিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার অস্বস্তি বাড়াল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কীভাবে বাস্তবকে অস্বীকার করতে পারে সরকার! অক্সিজেনের অভাবে লোককে মরতে দেওয়া যায় না। আপনারা নিজেদের মতো সময় নিচ্ছেন, অথচ মানুষ মরছে। কেন্দ্রকে দায়িত্বের স্মরণ করিয়ে বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘী ও রেখা পাটিলের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য,'ভিক্ষা, ধার বা চুরি করে অক্সিজেন জোগাড় করুন। এটা জাতীয় বিপর্যয়।' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতালগুলিতে বিপজ্জনকস্তরে পৌঁছে গিয়েছে অক্সিজেনের যোগান। এই মর্মে অভিযোগ করে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করে ম্যাক্স হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক। ওই মামলায় বিশেষ শুনানিতে হাইকোর্ট জানায়,'১০ দিন অন্তর কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। অক্সিজেনের যে অভাব, তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এই অভিযোগ মোটেও অতিরঞ্জিত নয়। এসব দেখে আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না।'       


কেন্দ্রের ভূমিকায় ভর্ৎসনার সুরে হাইকোর্ট (Delhi High Court) বলেছে, 'অক্সিজেনের জোগান নেই বলে এভাবে লোককে মরতে দিতে পারেন না। এটা কোনও স্বাধীন রাষ্ট্রের চিন্তাভাবনা হতে পারে না। মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় আমাদের নির্দেশ দিতে হবে, ভিক্ষা, ধার বা চুরি করে যেভাবেই হোক অক্সিজেন জোগাড় করুন।'           


দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) রায় নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর কটাক্ষ, আমরা শ্বাস নিতে পারছি না, হাজার হাজার লোক বলছে নরেন্দ্র মোদী স্যর। ধৈর্য ধরে রাখার জন্য অন্তত অক্সিজেনটা তো দিন।     



    
শিল্পে অক্সিজেনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কয়েকটি ক্ষেত্রকে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। এনিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পেট্রোলিয়াম ও স্টিল কারখানার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অধীনস্থ। কেন আপনারা রাশ টানতে পারছেন না? বা ন্যূনতম ব্যবহারে জোর দিচ্ছেন না? পেট্রোলিয়াম উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে কমানো তো সম্ভব। আমরা নিশ্চিত সেই অক্সিজেন মেডিক্যাল ব্যবহারে কাজে লাগাতে ঘাটতি পূরণ সম্ভব হবে।


আরও পড়ুন- এক দেশ, এক দল, এক নেতা বলে চিৎকার করে অথচ টিকার দাম এক নয়: Mamata