নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সবেমাত্র আন্দোলন ছেড়ে চিকিত্সা পরিষেবায় ফিরেছেন কলকাতার এনআরএস-এর জুনিয়র চিকিত্সকরা। এর মধ্যেই বছর ছয়েকের গুরুতর অসুস্থ এক শিশুকে চিকিৎসা না করেই অন্যত্র রেফার করার অভিযোগে ফের চিকিত্সকদের উপর চড়াও হল শিশুর পরিবার পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার জেরে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘঠেছে দিল্লির মহর্ষি বাল্মীকি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, দিল্লির ভাবনা থানা একালার বাসিন্দা বছর ছয়েকের ওই শিশুটি। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বছর চল্লিশের স্থানীয় এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে ভাবনা থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন আক্রান্ত শিশুটির পরিবার পরিজনরা। থানায় অভিযোগের পর মহর্ষি বাল্মীকি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় আক্রান্ত শিশুকে।


আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েকে হাসপাতালে আনার পর তাঁরা দেখেন, বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিত্সার দায়িত্ব নিতে চায়নি। চিকিত্সরা সাফ জানিয়ে দেন, জরুরি বিভাগ এখন বন্ধ। তাই শিশুর চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। তাই আক্রান্ত ছ’ বছরের শিশুকে বিনা চিকিত্সায় অন্যত্র রেফার করে দেন তাঁরা। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পরেন আক্রান্ত শিশুর অভিভাবক আর স্থানীয় বাসিন্দারা।


হাসপাতালে তাণ্ডবের সিসিটিভি ফুটেজ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। কোনও রকমে হাসপাতালের একটি ঘরে দরজা বন্ধ করে মারের হাত থেকে বাঁচেন চিকিত্সকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জরুরি বিভাগ বিকেল ৪টের পর বন্ধ হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও আক্রান্ত শিশুটির প্রাথমিক চিকিত্সা করার পর আরও কয়েকটি জরুরি পরীক্ষার জন্য ডঃ বিএসএ হাসপাতালে রেফার করা হয়।


আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জঙ্গি হামলায় চারজনের যাবজ্জীবন, একজন নির্দোষ


দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) গৌরব শর্মা জানান, শিশুটির যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মেডিক্যাল টেস্টেও ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তবে হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।