নিজস্ব প্রতিবেদন- দিল্লি দাঙ্গা পূর্বপরিকল্পিত। বহুদিন ধরেই দেশের রাজধানীতে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। ফেব্রুয়ারির দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আর দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল-এর জেরার মুখে উমর খালিদ একের পর এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, উমর খালিদের উমর খালিদের মোবাইল থেকে ৪০ জিবি ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর সেই ডেটা দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে পুলিসের তরফে দাবি করা হয়েছে। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, খালিদের মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল-এর কর্তারা বিশ্লেষণ করবেন বলে জানা যাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্পেশাল সেল উমর খালিদকে দশ দিনের রিমান্ড-এ রেখেছে। পুলিসের দাবি, জেরার মুখে উমর খালিদ স্বীকার করেছেন, তিনি ডিসেম্বর মাস থেকে সিএএ-এনআরসির বিরোধিতায় দিল্লিতে দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্র করছিলেন। এর পর জন সমর্থন পেয়ে সেই ষড়যন্ত্র বড় আকার নেয়। পুলিস আরও দাবি করেছে, ডিসেম্বর মাস থেকেই পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গায় উমর একের পর এক সভা করতে থাকেন। আর সেইসব সভায় উস্কানিমূলক ভাষণ দিতে থাকেন। যার ফলে ডিসেম্বর থেকে দিল্লির একাংশে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়। উমর খালিদ অনেকগুলি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ-এর সঙ্গেও যুক্ত বলেও দাবি করেছে দিল্লি পুলিস। সেইসব গ্রুপের মাধ্যমেও উস্কানিমূলক কথাবার্তা ছড়িয়ে দিতেন তিনি। দাবি পুলিসের।


আরও পড়ুন-  ৩০ সেপ্টেম্বর বাবরি মামলার রায়, আডবানি-যোশীদের হাজিরার নির্দেশ আদালতের


দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, পুলিস যে চার্জশিট পেশ করবে তাতে পিঞ্জরা তোড়-এর সদস্যের বয়ানের উল্লেখ থাকবে। সেই সদস্য উমর খালিদ সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি পুলিসের। উমর খালিদ দিল্লিতে এমন কিছু জায়গায় ভাষণ দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন যেখানের লোকজনের আনাগোণা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। ফলে সারা শহরে হিংসা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। দাবি দিল্লি পুলিসের।