নিজস্ব প্রতিবেদন:  গ্রুপের নাম  'বয়েস লকার রুম' (Bois Locker Room)।  লকডাউনে তৈরি হওয়া ইনস্টগ্রামের এই গ্রুপে প্রধান আলোচ্য বিষয় 'স্কুলছাত্রীদের ধর্ষণ'। আলোচনাকারীরা স্কুলছাত্র, প্রত্যেকে দশম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। ব্যাস, শুধু এই তিনটি বিষয় জাস্ট নাড়িয়ে দিয়েছিল দিল্লি পুলিসের সাইবার ক্রাইম বিভাগকে। দুঁদে পুলিসকর্তাদের চোখ কপালে উঠেছিল চ্যাটের আলোচনার বিষয়, শব্দপ্রয়োগ আর ছবি দেখে। কোনও দাগী অপরাধী নয়, দেশের তরুণ সমাজ, রাজধানীর নামিদামি স্কুলের অভিজাত পরিবারের পড়ুয়ারা কীভাবে এই ঘৃণ্য মানসিকতার উদাহরণ দিতে পারে, শিউরে উঠেছিল দিল্লি পুলিস প্রশাসন। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর লজ্জায় মুখ ঢেকেছে গোটা সমাজ।


এ যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! ভেনেজুয়েলার খাদ্য সংকটের মতোই চলবে লুঠ, সাহায্যের আর্তি নাট্যকর্মীদের
সম্প্রতি দিল্লি পুলিসের নজরে পড়ে ফেসবুকের নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি চ্যাটবক্স তৈরি হয়েছে। তাতে মূলত স্কুলছাত্রীদের কীভাবে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ সম্ভব, এই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসতেই সাইবার বিভাগ নড়েচড়ে বসে। ওঁত পেতে এই গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত এক স্কুলছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিস। পরে তাকে জেরা করে আরও ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, দিল্লির একটি বিখ্যাত স্কুলের ছাত্ররা এই গ্রুপটি চালাচ্ছিল।।
সম্প্রতি ওই গ্রুপের আলোচনা ফাঁস হয়ে যায়। কয়েকজন ওই গ্রুপের আলোচনার বিষয় ও ছবি স্ক্রিনশট নিয়ে ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে পোস্ট করেন। এরপরই বিতর্কের ঝড় ওঠে।
আপাতত, পুলিস তদন্তে জানতে পেরেছে, এই গ্রুপের সঙ্গে দিল্লির আরও চার-পাঁচটি স্কুলের ছাত্র জড়িত রয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিস। আপাতত ধৃত প্রত্যেক ছাত্রের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোবাইল খতিয়ে দেখে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।