নিজস্ব প্রতিবেদন: অনাহারেই মৃত্যু হয়েছে দিল্লির মান্ডওয়ালির তিন শিশুর। এমনটাই জানা ‌যাচ্ছে তাদের দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্টে। দিল্লির লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালের সুপার অমিতা সাক্সেনা 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানিয়েছেন, ‘ওদের দেহে চর্বির চিহ্নমাত্র ছিল না। পাকস্থলী একেবারে শূন্য। টানা অভুক্ত থাকলে এমনটা হতে পারে।’ মঙ্গলবার অচেতন অবস্থায় ওই তিন শিশুকে লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে 


নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন-দু’সপ্তাহের লড়াই ব্যর্থ, ফেরানো গেল না তরুণ ছাত্রনেতা মাজিদকে
পুলিস ওই শিশুদের মাকে তাদের মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞাসা করে। তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, মেয়েরা মারা ‌যাওয়ার আগে বারবার ‘খেতে দাও, খেতে দাও’ বলছিল। শিশু তিনটির মা-ও অপুষ্টিতে 


ভুগছেন। মানসিক রোগীও হয়ে পড়েছেন। সন্তানদের শেষ মুহূর্তের কথা বলতে বলতেই তিনি জ্ঞান হারান।


উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকালে তিন সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন মান্ডওয়ালির ওই গৃহবধূ বীণা। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের রিপোর্টে দেখা ‌যায় তিনটি 


শিশুর পাকস্থলীতে কোনও খাবার নেই। মলাশয়, মূত্রথলী খালি। পিত্তথলীতে পিত্তরসে ভর্তি। তখনই বলা হয়েছিল শিশু তিনটির মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২-১৮ ঘণ্টা আগে। অনাহার এবং অপুষ্টি জেরেই 


মৃত্যু হয়েছে। কমপক্ষে আট দিন তাদের পেটে কিছু পড়েনি।
আরও পড়ুন-জেরক্সের দোকানের ‘দাদা’র বাড়ি থেকে উদ্ধার ছাত্রীর হাত-পা বাঁধা দেহ
বীণা ও তার স্বামী মঙ্গলের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। পেশায় রিক্সাচালক মঙ্গল বীণাকে বিয়ে করেন বছর দশেক আগে। অভাবে দিন চলছিল তাদের। এর উপরে মঙ্গলের মদের নেশা ছিল। দিল্লির 


মধু বিহার এলাকায় রিক্সা চালাত মঙ্গল। সম্প্রতি তাঁর রিক্সটি চুরি হয়ে ‌যায়। বাড়িভাড়া দিতে না পারায় তাদের বাড়ি থেকেও বের করে দেওয়া হয়। টানা ২ সপ্তাহ অনাহারেই ছিল গোটা পরিবার। দিন 


কয়েক আগে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে ‌যায় মঙ্গল। তার পরেই এই বিপত্তি।