নিজস্ব প্রতিবেদন: আধাসেনা নামানোর পরও থামছে না হিংসা। পরিস্থিতি বিচার করে আধাসেনা ৩৫ কোম্পানি থেকে বাড়িয়ে  করা হল ৪৫ কোম্পানি। দিন যত এগোচ্ছে মৃতের সংখ্যা ততই বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত দিল্লি হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ওপরে। পাশাপাশি দিল্লি হিংসা নিয়ে হওয়া এক মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে বলেছে, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিসকে সব ব্যবস্থা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টেও দিল্লির পুলিসের ভূমিকার সমালোচনা করেছে। বলা হয়েছে, কেউ উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিসকে। এর জন্য কারও অপেক্ষা করতে হবে না। পুলিস আগেই ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।





আরও পড়ুন-নতুন করে হামলা গোকুলপুরী বাজারে, অশান্ত দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮


এদিকে, দিল্লির হিংসা সামাল দিতে সেনা নামানোর দাবি জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। হিংসা থামাতে ধরনায় বসার পর বুধবার তিনি টুইট করেন, পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। চেষ্টা সত্বেও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে দিল্লি পুলিস। অবিলম্বে অন্যান্য এলাকায় কারফিউ জারি করা ও সেনা নামানো উচিত। এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখব।


উল্লেখ্য, আধাসেনা নামলেও বুধবার নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে গোকুলপুরী, মোস্তফাবাদে। গোকুলপুরীতে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোস্তাবাদের বস্তিতে ছোড়া হয়েছে পাথর।


মঙ্গলবার সকালে নতুন করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে গোকুলপুরীর বাজারে। সোমবার ওই বাজারের অধিকাংশই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ২-৩ টি দোকান বাকি ছিল। আজ সকালে বেশ কয়েকজন হাঙ্গামাকারী এসে সেইসব দোকানও জ্বালিয়ে দেয়। আটিবিপির জওয়ানরা ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়েছে। অন্যদিকে, বাবরপুরে বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ। সিআরপিএফ জওয়ানরা সেখানে টহল দিচ্ছেন।


মঙ্গলবারই জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে হাঙ্গামার পর দিন যত গড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা ততই বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে মোট ২০ জনের। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


মঙ্গলবারই উত্তরপূর্ব দিল্লির ৪ জায়গায় কারফিউ জরি করা হয়েছে। আশান্ত এলাকায় নামানো হয়েছে ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা। তারপরও মঙ্গলবার রাতে বিক্ষিপ্ত হিংসা হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বুধবার সকালে গোকুলপুরীতে ভাঙাচোরা বাজারে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি মোস্তাফাবাদের বস্তিতে পাথর ছোড়া ও অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে।


আরও পড়ুন-কতটা ফুলেফেঁপে উঠেছে? তৃণমূল কাউন্সিলরদের সম্পত্তি-ই পুরভোটে হাতিয়ার হচ্ছে বিজেপির!


এদিন রাতেই জাফরাবাদ, সিলমপুর-সহ অন্যান্য জায়গা ঘুরে দেখেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। কথা বলেন ওইসব এলাকার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে। রাজধানীর পরিস্থিতি শান্ত করা ও পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর ভার দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, কোনও রকম হাঙ্গামা বরদাস্ত করবে না সরকার। পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিস ও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে অশান্ত এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে।