নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপূর্ব দিল্লির অধিকাংশ জায়গায় ১৪৪ ধারা, ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকলেও হিংসা ঠেকানো গেল না। এখনও পর্যন্ত দিল্লির হিংসায় প্রাণ গেল ১১ জনের। আহত হলেন ১৫০ জনেরও বেশি। দিনভর হিংসায় তোলপাড় হল দিল্লির বিরাট অংশ। শেষপর্যন্ত উত্তরপূর্ব দিল্লির ৪টি জায়গায় জারি হল কারফিউ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভজনপুরায় নতুন করে হিংসা, মৌজপুরে গুলি সাংবাদিককে, দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯


মঙ্গলবার সারাদিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় ভজনপুরায়। লাঠি-রড নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে দুই গোষ্ঠীর লোকজন। চাঁদবাগে দোকানপাট ভাঙচুর করে জনতা। পুলিস কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি এলাকার মানুষের। পুলিসের সংখ্যাও কম ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। তবে দিল্লির পুলিস কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ক সংবাদমাধ্যমে বলেন, হাঙ্গামাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গন্ডগোলের জায়গায় উপযুক্ত সংখ্যায় পুলিস রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আমাদের সব সহযোগিতা করে চলছে।





এদিকে, পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কারফিউ জারি করা হয়েছে মোট ৪ জায়গায়। দিল্লির পুলিসের স্পেশাল সিপি প্রবীর রঞ্জন সংবাদমাধ্যমে বলেন, জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদ বাগ ও করাবল নগরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করলেই গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুলিস।


মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে করাবল নগর, মৌজপুর, ভজনপুরা, বিজয় পার্ক, যমুনা বিহারের মতো এলাকায়। দমকলের গাড়ির ওপরেও পাথর ছোড়া হয়। কোথাও কোথাও আধাসেনার ওপরে অ্যাসিড ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে সংবাদমাধ্যমে দাবি। মৌজপুরে একটি টোটোর যাত্রীদের নামিয়ে হামলা করা হয় মৌজপুরে। গোকুলপুরে একটি টায়ারের বাজারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন-দিল্লির সংঘর্ষ ব্যক্তিগত হিংসা, ভারত বুঝে নেবে, মোদীর পাশে ট্রাম্প  


এদিকে, এরকম এক পরিস্থিতিতে কোনও রকম গুজব না ছড়তে আবেদন করেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। টুইট করে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কোনও কিছু না দেখে বিশ্বাস করবেন না। এদিকে, দিল্লির প্রাক্তন উপ রাজ্যপাল নাজিব জং সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা আগেই কারফিউ জারি করা উচিত ছিল। সত্তর হাজার পুলিশ আছে। ভিআইপি ডিউটি থেকে তাদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো হোক।