নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর-পূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। জারি হয়েছে কারফিউ। রাস্তায় রুটমার্চ করছে বাহিনী। তা সত্ত্বেও থামছে না হিংসা। এখনও পর্যন্ত পুলিস কর্মী-সহ মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩। আহত হয়েছেন দেড়শোরও বেশি মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২৪ ঘণ্টায় তিন দফায় বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 'শ্যুট অ্যাট সাইট' নির্দেশিকাও বহাল রয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুলিসের ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন অজিত দোভাল। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ঢোকার ৩টি পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিসের স্পেশাল কমিশনার জানান, জাফরাবাদ ও মৌজপুর চক থেকে বিক্ষোভকারীদের তুলে দেওয়া হয়েছে। ৬৬ ফুট রোডে যান চলাচল এখন স্বাভাবিক।



আরও পড়ুন-শহরের রাস্তায় ফিরছে নস্টালজিয়া ও রোম্যান্সের ডবল ডেকার  


সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছিল, দিল্লির আইনশৃঙ্খলায় লাগাম টানা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল উত্তর-পূর্ব দিল্লি। ভজনপুরা, করাবল নগর ও চাঁদবাগে অশান্তির খবর মিলেছে। রাতে ফের বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে তৃতীয় বৈঠক। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) আইপিএস এসএন শ্রীবাস্তব ও দিল্লির পুলিস কর্তারা। শ্রীবাস্তবকে মঙ্গলবারই পদে আনা হয়েছে। বুধবার কেরল সফরে যাওয়ার কথা ছিল অমিত শাহের। তা বাতিল করেছেন।


সূত্রের খবর, পুলিসকে হিংসা দমনে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। গভীর রাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুলিসের ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। 


দিল্লির হিংসা নিয়ে খবর সম্প্রচারের উপরে সংবাদমাধ্যমগুলিকে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। বলা হয়েছে, এমন কোনও খবর করা যাবে না, যা হিংসায় মদত জোগাতে পারে।


আরও পড়ুন-দিল্লির সংঘর্ষ ব্যক্তিগত হিংসা, ভারত বুঝে নেবে, মোদীর পাশে ট্রাম্প  


CBSE বোর্ডের দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার দিন পরে জানানো হবে।


দিল্লি পুলিসের মুখপাত্র এমএস রানধাওয়া জানিয়েছেন, মঙ্গলবার হাসপাতালে মারা গিয়েছেন আরও ৩ জন। পুলিস কর্মী-সহ মৃতের সংখ্যা হয়েছে ১৩। আহত দেড়শোরও বেশি। আহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। ১১টি এফআইআর করেছে পুলিস। পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকার জল্পনাও উড়িয়ে দেন রানধাওয়া।