নতুন করে হামলা গোকুলপুরী বাজারে, অশান্ত দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
জাফরাবাদ, সিলমপুর-সহ অন্যান্য জায়গা ঘুরে দেখেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিসের সংখ্যা বাড়তেই খানিকটা হলেও আশ্বস্ত হচ্ছেন জাফরাবাদ, মৌজপুর, ভজনপুরার মানুষজন। তবে নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে গোকুলপুরীতে। সেখানে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-জামিয়াতে পুলিস ঢোকায় গণতন্ত্র হত্যা হয়েছিল, তারাই বলছে, সরকার কোথায়? খোঁচা দিলীপের
মঙ্গলবার সকালে নতুন করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে গোকুলপুরীর বাজারে। সোমবার ওই বাজারের অধিকাংশই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ২-৩ টি দোকান বাকি ছিল। আজ সকালে বেশ কয়েকজন হাঙ্গামাকারী এসে সেইসব দোকানও জ্বালিয়ে দেয়। আটিবিপির জওয়ানরা ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়েছে। অন্যদিকে, বাবরপুরে বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ। সিআরপিএফ জওয়ানরা সেখানে টহল দিচ্ছেন।
মঙ্গলবারই জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে হাঙ্গামার পর দিন যত গড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা ততই বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে মোট ১৮ জনের। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবারই উত্তরপূর্ব দিল্লির ৪ জায়গায় কারফিউ জরি করা হয়েছে। আশান্ত এলাকায় নামানো হয়েছে ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা। তারপরও মঙ্গলবার রাতে বিক্ষিপ্ত হিংসা হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বুধবার সকালে গোকুলপুরীতে ভাঙাচোরা বাজারে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি মোস্তাফাবাদের বস্তিতে পাথর ছোড়া ও অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন-গভীর রাতে শুনানি, আহতদের নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
এদিন রাতেই জাফরাবাদ, সিলমপুর-সহ অন্যান্য জায়গা ঘুরে দেখেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। কথা বলেন ওইসব এলাকার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে। রাজধানীর পরিস্থিতি শান্ত করা ও পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর ভার দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, কোনও রকম হাঙ্গামা বরদাস্ত করবে না সরকার। পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিস ও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে অশান্ত এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে।