তাঁর মা-ই সংসারে সবথেকে বেশি টাকা রোজগার করতেন। আর তিনিই সংসারে বেশিরভাগ খরচ চালাতেন, এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। আর তাই তার জ্যেঠু তার মায়ের মাথা থেকে ধর আলাদা করে দিয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে একথাই জানিয়েছে সঞ্জনা। দিল্লির রোহিনী পার্ক এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া তার মায়ের মাথা ও হাতের টুকরো শনাক্ত করতে গিয়ে ভেঙে পড়ে বছর ১৭-র সঞ্জনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাতৃবধূকে খুনের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন রামা শঙ্করও। তারই ভাই লালকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন কলাবতী।  লাল রিক্সা চালান।  আর তাই বছর ৩১-এর কলাবতী প্রসাধনীর দোকান খুলেছিলেন। ভালোই রোজগার হত। কলাবতীই সংসারের খরচ ও মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতেন। আর এটাই সহ্য করতে পারতেন না ভাসুর রামা শঙ্কর।


কলাবতীর মেয়ে সঞ্জনা জানিয়েছে, তার জ্যেঠু মায়ের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। তার মা দিতে রাজি না হলে জ্যেঠু প্রায়ই হুমকি দিতেন। তবে কলাবতী ভয়ে একথা তার স্বামীকে জানাননি। ভয়ে ভয়েই দোকানে ‌যেতেন। শুক্রবারও তেমনটাই হয়েছিল। কলাবতী বাড়ি না ফিরলে তাঁর স্বামী ও মেয়ে পুলিশে খবর দেন। 
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে রামা শঙ্কর কলাবতীর মাথা ও দেহ টুকরো করে কাপড়ে বেঁধে একটা চলন্ত গাড়িতে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন-ভাবতে পারেন! কান্না থামাতে ছোট্ট মেয়েকে ছাদ থেকে দু'‍দুবার ছুঁড়ে ফেললেন মা