নিজস্ব প্রতিবেদন: ধার-দেনায় গলা পর্যন্ত ডুবে গিয়েছিল। ক্রেডিট কার্ডের বিল ৮ লক্ষ টাকা! বিল মেটানোর সাধ্য নেই। এর সঙ্গেই প্রতিদিনের সংসার খরচের চিন্তা। তার উপর দিনে চোদ্দ বার বকেয়া টাকা শোধ করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ফোন! চাপের চোটে শেষমেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক বছর পয়ত্রিশের যুবক। মঙ্গলবার ভোর রাতে (৩টে নাগাদ) চার বছরের মেয়েকে কোলে নিয়ে বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। ঘটনা আঁচ করে স্বামীর পিছু নিয়েছিলেন ওই যুবকের স্ত্রীও। বহুতলের ছাদ থেকে স্বামীকে ঝাঁপাতে দেখে তিনিও ঝাঁপ দেন বহুতলের ছাদ থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির সহোদরা জগতপুরী এলাকায়। জানা গিয়েছে, ঘটনায় ওই যুবকের মৃত্যু হলেও বেঁচে গিয়েছেন যুবকের স্ত্রী ও মেয়ে। তবে দু’জনেই গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সুরেশ কুমার ও তাঁর স্ত্রীর নাম মনজিৎ কউর।


যুবকের স্ত্রী মনজিৎ পুলিসকে জানান, সুরেশ গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। জগতপুরীতে তাঁর শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন সুরেশ। একাধিক ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের মোট বকেয়া প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ছাড়ায়। দিনভর টাকা মেটানোর জন্য বার বার ফোন আসত। মনজিতের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে সুরেশকে হুমকিও দেওয়া হত। শেষে নিরুপায় হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয় তাঁদের।


আরও পড়ুন: তামাক দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করায় স্ত্রীকে তিন তালাক স্বামীর


পুলিস জানিয়েছে, সুরেশ, মনজিৎ ও তাঁদের মেয়েকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। তিন জনকেই চিকিত্সার জন্য নীকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিত্সকরা সুরেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় সুরেশ-মনজিতের চার বছরের মেয়ের দুটি পা-ই ভেঙে গিয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন মনজিৎ নিজেও। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ নম্বর ধারায় একটি খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পুলিস।