Air quality: মারাত্মক বিষাক্ত হয়ে উঠছে দিল্লি বাতাস, বায়ুদূষণ বাড়ছে কলকাতাতেও
বাজির দাপটে বিষিয়ে গিয়েছে বায়ু।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীপাবলির পর থেকেই দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে। শনিবার কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রকাশিত তালিকায় দেখা গিয়েছে,দেশের ৩৩টি শহরের বাতাসের পরিস্থিতি খুব খারাপ। বাজির দাপটে বিষিয়ে গিয়েছে বায়ু। এরপর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দিল্লির৷ রাজধানীতে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪৬২৷ একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে দীপাবলির পর দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা গত ৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
আনন্দ বিহার ও ফরিদাবাদের মতো জায়গায় এয়ার কোয়ালিটি ছিল ৬০০। এছাড়া ইন্ডিয়া গেট, মন্দির মার্গের মতো জায়গায় একিউআই লেভেল ছিল ৪০০। মাত্রাছাড়া দূষণ রোধে দিল্লির ৯২টি জায়গায় নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, পরিবেশ রক্ষা করতে সুপ্রিম কোর্ট শুধু সবুজ বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে দেদার বাজি পুড়তেই ফের বিষের গ্রাসে বায়ু৷
আরও পড়ুন, BJP: নজরে ৫ রাজ্যের উপনির্বাচন! আজই বিশ্লেষণে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক
দিল্লি, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদ গোরক্ষপুর, বুলন্দশহরের মতো উত্তরপ্রদেশের শহরগুলি, এছাড়াও হরিয়ানার হিসার, পানিপথ, সোনিপথের বাতাসেও বেড়েছে দূষণ। এর তীব্রতা এতটাই যে দৃশ্যমানতাও কমছে পাল্লা দিয়ে৷ কালো ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে রাজধানী। নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদের পরিস্থিতি তথৈবচ৷
এদিকে কলকাতার অবস্থাও কঠিন। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরেছে শহরের আকাশ। কলকাতার বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাপ - PM10 থাকার কথা এবং শ্বাসবাহিত ধূলিকণা অর্থাৎ PM2.5 থাকার কথা ৬০ মাইক্রোগ্রাম পার মিটার কিউব। সেখানে PM10 ছিল ১০০ থেকে ১১৬ মাইক্রোগ্রাম এবং PM2.5 ছিল ৯২ মাইক্রোগ্রাম।
বিশেষজ্ঞাদের দাবি, বৃষ্টি বা শক্তিশালী বাতাস ছাড়া দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা কম সম্ভব নয়। ফলে আপাতত গ্যাস চেম্বার হয়েই থাকছে রাজধানী।