নোটবাতিল প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুবান্ধবদের কালো টাকা সাদা করার ফিকির, কটাক্ষ রাহুলের
এদিন ফেসবুকে নোটবাতিলের পক্ষে সওয়াল করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি লেখেন, কারও টাকা কেড়ে নেওয়া সরকারের উদ্দেশ্য ছিল না। বরং বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য ছিল
নিজস্ব প্রতিবেদন: নোটবন্দির দু’বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীকেই নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী। মোদী সরকারের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে একটি সুপরিকল্পিত আর্থিক দুর্নীতি বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেস সভাপতি। এর উদ্দেশ্যই হল প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুবান্ধবদের সাহায্য করা।
আরও পড়ুন-বেহালায় মন্দিরে পুরোহিতের কুকীর্তি! যুবতীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর দেশে আচমকাই ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পরই দেশজুড়ে টাকার আকাল দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী বলেন, নোটবন্দি একটি পরিকল্পিত দুর্নীতি। প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুবান্ধবদের কালো টাকা সাদা করার জন্যই এই কাণ্ড করা হয়েছিল। এর অন্য কোনও অর্থ বের করার চেষ্টা দেশের মানুষকে বোকা ভাবা।
নোট বাতিল নিয়ে এদিন মোদী সরকারকে নিশানা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও। তিনি বলেন, সাধারণভাবে দিন যত যায় ততই কোনও ক্ষত শুকিয়ে যায়। কিন্তু নোট বাতিলের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। দিন যত গিয়েছে ততই এর দগদগে রূপ বেরিয়ে এসেছে। দেশের অর্থনীতিতে এটি একটি হঠকারি সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত দলের সভাপতির ওই মন্তব্যের পরই সরব হন মনমোহন।
এদিন ফেসবুকে নোটবাতিলের পক্ষে সওয়াল করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি লেখেন, কারও টাকা কেড়ে নেওয়া সরকারের উদ্দেশ্য ছিল না। বরং বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য ছিল। সরকারের একাধিক আর্থিক সংস্কারের মধ্যে ছিল নোট বাতিলও।
আরও পড়ুন-কবে পড়বে শীত? নিম্নচাপ কাটতেই জানাল হাওয়া অফিস
নোট বাতিল নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মাও। রাজধানীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শর্মা বলেন, নোট বাতিল হাওলার একটা অন্য রূপ। কটাক্ষ করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও। তিনি বলেন, এতবড় একটা বিষয় অথচ বিজেপি এর কোনও প্রচার করল না এবার! আগে তো ধুমধাম করে নোট বাতিলের ঢাক পেটানো হতো। দেশের স্বাধীনতার পর এটি হল সবচেয়ে বড় আর্থিক ঘোটালা। নোট বাতিলের ফলে দেশ কী পেল? কালো টাকা ফেরত এসেছে? জাল টাকা উদ্ধার হয়েছে? সন্ত্রাস বন্ধ হয়েছে? বরং দেশের ৩ লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এতদিন পর নোট বাতিলের জন্য মোদীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।