ওয়েব ডেস্ক: 'টাকা মাটি, মাটি টাকা'। হ্যাঁ, রামকৃষ্ণ কথামৃতই এখন ভারতীয় আম জনতার কাছে এক মাত্র ধ্রুবসত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাকা আছে অথচ টাকার মূল্য নেই। এতদিন যে টাকায় পকেট গরম হত, এখন সেই টাকা থাকা আর না থাকা একই সমান! ৫০০ আর হাজার টাকার চিরাচরিত নোট আর বাজারে চলছে না, লেনদেনের জন্য প্রয়োজন নতুন নোট। পুরনো নোট দিয়ে ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিস থেকে পাওয়া যাচ্ছে নতুন নোট। সংখ্যায় সেটা অল্প হলেও আম আদমির দিন চলে যাওয়ার মত টাকা ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিস থেকে পাওয়া যাচ্ছে। তবে সমস্যা গচ্ছিত অর্থ জমা দেওয়াটাই। কত টাকা জমা দেওয়া যাবে? একদিনে সর্বাধিক কত টাকা জমা দিলে আয়কর বিভাগের নজর এড়ানো যাবে? বিপুল অর্থ, যা বছর বছর ধরে গুছিয়ে রাখা হয়েছে, তা একসঙ্গে জমা দিলে বিপদে পড়তে হবে না তো? এই সব প্রশ্নতেই এখন রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে আম আদমির। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


 


তবে চিন্তা নেই, টাকার কোনও ক্ষতি হবে না, আশ্বাস দিয়েছে ভারত সরকার। তবে মানতে হবে নিয়ম। একদিনে আড়াই লাখ পর্যন্ত টাকা জমা করতে পারবে সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব হাসমুখ আধিয়া জানিয়েছেন, "শ্রমিক, কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী, গৃহবধূ, চাকুরিজীবী-এঁদের মত আম আদমি দেড় থেকে ২ লাখ টাকা অনায়াসেই জমা করতে পারেন, তাঁদের কোনও আশঙ্কার কারণ নেই"। তবে আড়াই লাখ পেরোলেই গ্রাহক এবং আমানাতকারী চলে আসবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং আয়কর বিভাগের আতস কাচের তলায়। ২.৫ লাখের বেশি টাকা জমা দেওয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতে আমানতকারীকে দিতে হবে ২০০ শতাংশ জরিমানা। শুধু তাই নয়, নগদ টাকার বৈধতা নিয়েও দিতে হবে প্রমাণ।